Naat Lyrics in Bangla

Naat Lyrics in Bangla

 

 

হাম নে আঁখোঁ সে (বাংলা লিরিক্স/কথা)

 

হাম নে আঁখোঁ সে দেখা নাহি হ্যায় মাগার
উনকি তাসভীর সাইন মে মৌজুদ হ্যায়
জিসনে লাকার কালামে ইলাহি দিয়া
ও মুহাম্মদ মাদিনে ম্যায় মওজুদ হ্যায়

ফুল খিলতে হ্যায় পড় পড় কে সাল্লে আলা
জুম কর কেহ রাহি হ্যায় ইয়ে বাগে সাবা
এসি খুশবু চমন কে ঘুলোঁ মে কাঁহা
জো নবী কে পাসিনে মওজুদ হ্যায়

হামনে মানা কে জান্নাত বহোত হ্যায় হাসি
ছোট কর হাম মদিনা না যায়ে কহি
ইউ তো জান্নাত মে সব হ্যায় মদিনা না নেহি
অর জান্নাত মাদিনে ম্যায় মওজুদ হ্যায়

ছোটনা তেরা তাইবা গাওয়ারা নাহি
সারে দুনিয়ামে আইসা নাজারা নাহি
আয়েসা মানজার জামানে ম্যায় দেখা নেহি
জাইসা মানজার মদিনে ম্যায় মওজুদ হ্যায়

ওহ আবু বকর, ফারুক, উসমান, আলী
হ্যায় ইয়ে সব উন কে দ্বীনে মুবিহ কে ফকিহ
ওয়া ফকিহো কে আফসার শাহে আম্বিয়া
ওয়া শাহেনশাহ মদিনে মওজুদ সে

ওহ আবু বকর, ফারুক, উসমান, আলী
হ্যায় ইয়ে সব উন কে দ্বীনে মুবিহ কে ফকিহ
ওয়া ফকিহো কে আফসার শাহে আম্বিয়া
ওয়া শাহেনশাহ মদিনে মওজুদ সে

বেসাহারোঁ কো সাইন সে লিপ্ত লিয়া
জিসনে জো মানাগা উসকো আতা কর দিয়া
ওয়া ফকিরন কে আফসার শাহে আম্বিয়া
ও শাহেনশাহ মদিনে মজুদ হ্যায়

 

ওহ মেরা নবী মেরা নবী মেরা নবী হ্যায় ওহ মেরা নাবী হ্যায়

Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
—————————————-
Wo Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

ও মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

Wo Jiske Liye Mehfile Kownain Saji Hai
Firdose Bari Jiske Wasile Se Bani Hai
Wo Hashmi…
Wo Hashmi Makki Madani Ul Arabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Hai…

ও জিসকে লিয়ে মেহফিলেয় কওনাইন সাজি হেয়
ফিরদোওসে বারি জিসকে ওয়াসিলে সে বানি হেয়
ও হাশেমি……
ও হাশেমি মাক্কি মাদানি উল আরাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি হেয়…..

Ahmad Hai Muhammad Hai Wahi Khatme Rasul Hai
Makhdumo Murabbi Hai Wahi Wali-e-Kul Hai
Us Par Hi Nazar…
Us Par Hi Nazar Sare Zamane Ki Lagi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

আহমাদ হেয় মুহাম্মাদ হেয় ওয়াহি খাতমে রাসুল হেয়
মাখদুমও মুরাব্বি হেয় ওয়াহি ওয়ালি-এ-কুল হেয়
উস পার হি নাজার….
উস পার হি নাজার সারে জামানে কি লাগি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

Was-shamso Duha Chehra-e-Anwar Ki Jalak Hai
Walliale Saza Hai Suye Hazrat Ki Lachak Hai
Aalam Ko Ziya…
Aalam Ko Ziya Jiske Wasile Se Mili Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

ওয়াশ-শামসু দোহা চেহরা-এ-আনওয়ার কি ঝালাক হেয়
ওয়াল্লাইলে সাজা হেয় সুয়ে হাযরাত কি লাছাক হেয়
আলাম কো যিয়া….
আলাম কো যিয়া জিসকে ওয়াসিলে সে মিলি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

Allaha Ka Farma “Alam Nashrah La Ka Sadraq”
Mansub Hai Jis Se “Wa Rafa’na La Ka Zikraq”
Jis Zaat Ka…
Jis Zaat Ka Quran Mein Bhi Zikre Jali Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

আল্লাহা কা ফারমা ” আলাম নাশরাহ লা কা সদরাক্ব’
মানসাব হেয় জিস সে “ওয়া রাফায়না লা কা জিকরাক্ব”
জিস জাত কা….
জিস জাত কা কুরআন মেয় ভি জিকরে জালি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

Yaseeno Wa Muzzamilo Muddasiro Taha
Kya Kya Naye Alqabon Se Maula Ne Pukara
Kya Shan Hai…
Kya Shan Hai Uski Ke Jo Ummi Lakabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

ইয়াসিন ও ওয়া মুজ্জামিল ও মুদ্দাসির ও ত্বাহা
কেয়া কেয়া নায়ে আলক্বাবও সে মাওলা নে পুকারা
কেয়া শান হেয়….
কেয়া শান হেয় উসকি কে জো উম্মি লাক্বাবী হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

Wo Zaat Ke Jo Mazhare Lawla Kalama Hai
Jo Sahibe Raf-Raf Shabe Me’raj Hua Hai
Asra Mein…
Asra Mein Imamat Jise Nabiyon Ki Mili Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

ও জাত কে জো মাজহারে লাওলা কালামা হেয়
জো সাহিবেয় রাফ-রাফ শব-এ-মিরাজ হুয়া হেয়
আসরা মেয়….
আসরা মেয় ইমামাত জিসে নাবিয়্যোও কি মিলি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

Kis Darja Zamane Mein Thi Mazlumi-e-aurat
Fir Jiski Badowlat Main Mili Izzat O Rifa’t
Wo Mohsino
Wo Mohsino Gamkhar Hamara Hi Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai
Wo Mera Nabi Mera Nabi Mera Nabi Hai

কিস দারজা জামানে মেয় থি মাজলুমি-এ-অওরাত
ফির জিসকি বা-দৌওলাত মেয় মিলি ইজ্জাত ও রিফয়া’ত
ও মুহসিনও
ও মুহসিনও ঘামখার হামারা হি নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়
ও মেরা নাবি মেরা নাবি মেরা নাবি হেয়

 

উঠা দো পর্দা দেখা দো চেহরা
ইমাম আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা (رحمة الله)
—————-

উঠা দো পর্দা দেখা দো চেহরা কেহ নূরে বারী হেজাব মেঁ হ্যায়,
যমানা তারীক হাে রাহা হ্যায়,কেহ মেহরে কবসে নেকাব মেঁ হ্যায়॥

নেহী উসহ মীঠী নেগাহ ওয়ালা,খােদা কী রহমত হ্যায় জলওয়া ফরমা,
গযব সে উনকে খােদা বাচায়ে জালালে বারী এতাব মেঁ হ্যায়॥

জলী জলী বু সে উসকী পয়দা,হ্যায় সােযিশে ইশকে চশমে ওয়ালা,
কাবাবে আহু মে ভী না পায়া মযা জু দিলকী কাবাব মেঁ হ্যায়॥

উনহী কী বু মাইয়ায়ে সমন হ্যায়,উনহী কা জলওয়া চমন চমন হ্যায়,
উনহী সে গুলশান মেহেক রহে হ্যায়ঁ উনহী কী রঙ্গত গুলাব মেঁ হ্যায়॥

তেরী জলো মে হ্যায় মাহে তায়বা, হেলাল হার মর্গ ও যিন্দেগী কা,
হায়াত জাঁ কা রেকাব মেঁ হ্যায় মামাত আ’দা কা ডাব মেঁ হ্যায়॥

সিয়া লিবাসানে দারে দুনিয়া ও সবযে পােশানে আরশে আ’লা,
হার এক হ্যায় উনকে করম কা পিয়াসা ইয়ে ফয়যে উনকী জনাব মেঁ হ্যায় ॥

উঅহ গুল হ্যায় লবহায়ে নাযুক উনকে, হাযারাে ঝড়তে হ্যায় ফুল জিন সে,
গুলাব গুলশান মে দেখে বুলবুল ইয়ে দে-খ গুলশান গুলাব মেঁ হ্যায়॥

জলী হ্যায় সােযে জিগর সে জাঁ তক, হ্যায় তালেবে জলওয়ায়ে মােবারক,
দেখা দো উঅহ লব কেহ্ আবে হায়ওয়াঁ কা লুৎফ জিনকে খেতাব মেঁ হ্যায়॥

খাড়ে হ্যায়ঁ মুনকার নকীর সর পর না কোয়ী হামী না কোয়ী আ-ওয়ার,
বাতাদো আ’কর মেরে পয়াম্বর কেহ্ সখ্ত মুশকিল জওয়াব মেঁ হ্যায় ॥

খােদায়ে কাহহার হ্যায় গযব পর,খুলে হ্যাঁয় বদ কারীয়োঁ কে দফতর,
বাচালাে আ’কর শফীয়ে মাহশর তুমহারা বান্দা আযাব মেঁ হ্যায়॥

করীম এ্যয়সা মিলা কেহ্ জিসকে খুলে হ্যাঁয় হাথ আওর ভরে খাযানে,
বাতাও এ্যায় মুফলেসাে কেহ্ ফির কিউঁ তুমহারা দিল ইদতিরাব মেঁ হ্যায়॥

গুনাহ কী তারীকিয়াঁ ইয়ে ছুপা’য়ে আমন্ড কে কালী ঘটায়ে আ-য়েঁ,
খােদা কে খােরশীদ মেহর ফরমা কেহ যররা বস ইদতিরাব মে হ্যাঁয়॥

করীম আপনে করম সদকা,লঈম বে কদর কো না শরমা,
তু আউর রেযা সে হেসাব লে’না রেযা ভী কোঈ হেসাব মে হ্যাঁয় ॥

—————————————–

বাংলা কাব্যানুবাদ
উঠাও পর্দা, দেখাও সে চেহারা, খােদার জ্যোতি সে রয়েছে পর্দায়,
জগত আধারে ডুবে ডুবে হায়,কতকাল আর চাঁদ চেহারী লুকায়॥

নহে সে নিছক দয়ারই দৃষ্টি, খােদারই রহমত এ মূর্ত সৃষ্টি,
গজব হতে তাঁর বাচাঁও এ সৃষ্টি,কেননা তায় খােদ খােদা ক্ষেপে যায়॥

পড়ে যাওয়া বাস্প হতে পয়দা, সে চোখ ওয়ালার প্রেমের ব্যথা,
কাবাব হরিণের অত না মজা, দিলের কাবাবে যে স্বাদ পাওয়া যায় ॥

ফুলের পুঁজি কি তাঁরই সে সৌরভ, রূপচ্ছটা তাঁর বসন্তে গৌরব,
তাঁরই করুণা বাগানে বৈভব,তাঁরই রূপে ফুল রাঙ্গা বাগিচায়॥

মাদিনারই চাঁদ তােমারই কব্জায়, ধরা আছে জান, থাকে কিবা যায়,
তােমারই অশ্বের রেকাবে প্রাণ হায়, মরণ শত্রুর সেও এ কব্জায় ॥

কালাে পােষাকে এ দুনিয়াওয়ালা কী আরশে সবুজ লেবাসওয়ালা,
সবার আছে তাঁর দয়ার পিয়াস, চরণে যায় যে করুনা সেই পায়॥

সে পুষ্পসম কোমল দু’ঠোটে হাজারাে পুষ্প ঝরে ও ফোটে,
কাননে ফুল তাই অলিরা জোটে,কত মালঞ্চ এ পুষ্প শােভায় ॥

কী মর্ম জ্বালায় এ দগ্ধ অন্তর, হেরিতে চায় সে শােভা নিরন্তর,
দেখাও দেখাও সে পবিত্র অধর, রয় আবে হায়াত যারি সে ভাষায়॥

শিয়রে মুনকার নকীর দাঁড়িয়ে, না আসে বন্ধু কেউ আগ বাড়িয়ে,
এসাে সওয়ালের জওয়াব শিখায়ে কী সঙ্কটে দাস আজি অসহায়॥

গজবে আছেন খােদা সে কাহহার, হিসাবে পাপী কঠিন সে দরবার,
বাঁচাও এসে হে শফীয়ে মাহশার, তােমারই বান্দা কী দূর্দশায়॥

মিলেছে দাতা কী মুক্ত হস্ত, সে রাজকোষও তাঁর কী প্রশস্ত,
বলাে হে দুঃস্থ, হে রিক্তহস্ত তবু কেন মন তব আশঙ্কায়॥

পাপের আঁধারে ছেয়েছে এ মন, গ্লানির কালিমা জমলাে যে ক্ষণ,
খােদারই সূর্য করুণা এখন অনুপরিমাণ সার এ দশায়॥

দাতা তােমারই দানের দোহাই এ ক্ষুদ্র অধীনে ফেলােনা লজ্জায়,
অপর কাউকে হিসাবে নেওয়া যায়, রেযা বুঝি সে হিসেবে গােনা যায়॥

 

করম মাঁঙ্গতা হো আতা মাঁঙ্গতা হো
—————————————————-

করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ

করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ

আতা কর তু শান ই করিমি কা সাদাকা
আতা কের দে শান ই রারেমি কা সাদাকা
না মাঙ্গুন গা তুঝসে তো মাঙ্গুন গা কিস বলে
তেরা হোন ম্যায় তুঝসে দুয়া মাংতা হুঁ
করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ । ঐ

জো মুফলিস হ্যায় উনকো তু দৌলত আতা কার
জো বেমার হ্যায় উনকো সেহাত আতা কার
জো মুফলিস হ্যায় উনকো তু দৌলত আতা কার
জো বেমার হ্যায় উনকো সেহাত আতা কার
মারিজন কি খাতির শিফা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ । ঐ

করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ

জো নাদার হ্যায় কুছ নাহি জিন কে পাল্লায়
উনহেন ভি দেখা দে হারাম কে তু জলে
হাজুরি হো সব কি দোয়া মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ । ঐ

করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ

ওহ টাঙ্কে ভরক্তায় শররে ভুজা দিন
ইসসে ফির আখুয়াত কা গুলশান বানা দে
মে আমনো আম্মান কি রিদা মাংতা হউন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ । ঐ

করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ

ইলাহি তুঝে ওয়াস্তা পাঞ্জতান কা
হো শাদাব ঘুঞ্চা দিলুন কে চমন কা
ম্যায় সাদাকা ই গাউস উল ওয়ারা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ । ঐ

করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
করম মাংতা হুন, আতা মাংতা হুন
ইলাহি মে তুজসে দুয়া মাংতা হুঁ ।

 

 

আর্শ কী আকল দঙ্গ হ্যায় চরখ মে আসমান হ্যায়

 

বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

আর্শ কী আকল দঙ্গ হ্যায় চরখ মে আসমান হ্যায়,
জানে মুরাদ আর কিধার হায়ে তেরা মকান হ্যায়ঁ ॥

লোপ পেয়ে যায় আরশের ও জ্ঞান ফিরছে ঘুরে সে আসমান
সব উদ্দেশ্যের কোথায় সে জান, হায়রে কোথায় সে উঁচু স্থান ॥
—————

বযমে সনায়ে যুলফ মে মেরী আরুসে ফিকর কো
সারী বাহারে হাশত খুলদ ছোটা সা ইৎরদান হ্যায় ॥

কেশদামের গুণগানের মজলিস, দুলহানরূপ এই চিন্তায় হদিস,
আট বেহেশেতের এ বিশাল কানন, ছোট্ট সে এক আতরদান ॥
—————

আরশ পেহ্ জাকে মুরগে আকল থক কে গিরা গশ আ গ্যায়া,
আউর আভী মনযিলো পারে পেহলাহী আ-সতান হ্যায় ॥

আরশে গিয়ে জ্ঞানের পাখি, পড়ল লুটে, জ্ঞান রয়নি বাকী,
আর ও কত মনযিল যে বাকী, এই নবীর পয়লা সোপান ॥
—————

আরশ পেহ্ ভাযাহ ছেড় ও ছাড় পরশ পেহ্ তুরফা ধুম ধাম,
কান জিধার লাগাইয়ে তেরী হী দাসতান হ্যায় ॥

আরশে নতুন কী সে গুঞ্জন, এ ভুলোকেও কী আয়োজন,
নবী তোমার চর্চাই শুনি, যে দিকে দেই মনের কান ॥
—————

ইক তেরে রুখ কী রুশনী চ্যাইন হ্যায় দো জাহান কী,
ইনস কী উনস উসী সে হ্যায় জানকী উঅহী জান হ্যায় ॥

জ্যোতি সে তব চেহারা পাকের, প্রশান্তি আনে দোজাহানের,
মানবের এ প্রেম সেখান হতেই তা হতে সব প্রাণীরই প্রাণ ॥
—————

উঅহ্ জু না থে তু কুছ না থা, উঅহ জু না হোঁ তু কুছ নহো,
জান হ্যায়ঁ উঅহ জাহান কী জান হ্যায় তু জাহান হ্যায় ॥

না ছিল কিছুই ছিলেনা যখন, না হলে তুমি, নয় এ সৃজন,
প্রাণ তুমি তো এ জাহানের, প্রাণ হলেই তো হয় এ জাহান ॥
—————

গোদ মে আলমে শাবাব হালে শাবাব কুছ না পু-ছ,
গুল বনে বাগে নূর কী আওর হী কুছ উঠান হ্যায় ॥

কোলে ভরা যৌবনের ভূবন, মরি মরি এক অপূর্ব মন
নূর বাগিচার সেই কিশলয় বেড়ে সে যায় ওই লা-মকান ॥
—————

তুঝ সা সিয়াহ্ কার কওন উনসা শফী হ্যায় কাহাঁ,
ফির তুঝহী কো ভূল জায়ে দিল, ইয়ে তেরা গুমান হ্যায় ॥

আমার মত নেই পাপী ধরায় তাঁর মত দয়ালু কোথায়,
ভাবিস কেন সে যাবে ভুলেই, ভাবনা সে ভুল হে পাপীপ্ৰাণ ॥
—————

পেশে নযর উঅহ নও বাহার, সেজদে কো দিল হ্যায় বেকারার,
রোকিয়ে সর কো রোকিয়ে হাঁ ইয়েহী ইমতিহান হ্যায় ॥

নব বসন্ত সামনে হেরি, দিল পাগল কয় সিজদা করি,
রুখো, রুখো শির একটু রুখো আশেকের পরীক্ষা মহান ॥
—————

শানে খোদা না সাথ দে, উনকে খেরাম কা উঅহ বায,
সিদরাহ্ সে তায মে জিসে নর্মসী ইক উড়ান হ্যায় ॥

অপূর্ব! সে যায় উর্ধে একা, জিব্রাইলেরও নেই সে পাখা,
সিদরা থেকে এ যমীনে যাঁর সামান্যতম একটু উড়ান ॥
—————

বারে জালাল উঠা লিয়া গরচে্হ কলীজা শক্ব হুয়া,
ইউঁ তু ইয়ে মাহে সবযা রঙ্গ নযরোঁ মে ধান পান হ্যায় ॥

কুদরতের সে তজরী ভার, বইলো যদিও বুক ভাঙে তাঁর,
এমনিতে তাঁর নাজুক বলন, দেখতে সে চাঁদ হুড়ায় পরান ॥
—————

খাওফ না রাখ রেখা, তু তু হ্যায় আবদে মুস্তফা,
তেরে লিয়ে আমান হ্যায় তেরে লিয়ে আমান হ্যায় ॥

ভয় কী ‘রেখা’ হাশরে আর, গোলাম তুমি যে মোস্তফার,
নির্ভাবনায় থাক তুমি অভয়বাণী শুনলে ‘আমান’ ॥
—————

 

 

 

উঠা দো পর্দা দেখা দো চেহরা
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

উঠা দো পর্দা দেখা দো চেহরা কেহ নূরে বারী হেজাব মেঁ হ্যায়,
যমানা তারীক হো রাহা হ্যায়,কেহ মেহরে কবসে নেকাব মেঁ হ্যায় ॥

উঠাও পর্দা, দেখাও সে চেহারা, খোদার জ্যোতি সে রয়েছে পর্দায়,
জগত আধারে ডুবে ডুবে হায়, কতকাল আর চাঁদ চেহারা লুকায় ॥
———————

নেহী উঅহ মীঠী নেগাহ ওয়ালা, খোদা কী রহমত হ্যায় জলওয়া ফরমা,
গযব সে উনকে খোদা বাচায়ে জালালে বারী এতাব মেঁ হ্যায় ॥

নহে সে নিছক দয়ারই দৃষ্টি, খোদারই রহমত এ মূর্ত সৃষ্টি,
গজব হতে তাঁর বাঁচাও এ সৃষ্টি, কেননা তায় খোদ খোদা ক্ষেপে যায় ॥
———————

জলী জলী বু সে উসকী পয়দা হ্যায় সোযিশে ইশকে চশমে ওয়ালা,
কাবাবে আহু মে ভী না পায়া ময়া দিলকী কাবাব মেঁ হ্যায় ॥

পুড়ে যাওয়া বাস্প হতে পয়দা, সে চোখ ওয়ালার প্রেমের ব্যথা,
কাবাব হরিণের অত না মজা, দিলের কাবাবে যে স্বাদ পাওয়া যায় ॥
———————

উনহী কী বু মাইয়ায়ে সমন হ্যায়, উনহী কা জলওয়া চমন চমন হ্যায়,
উনহী সে গুলশান মেহেক রহে হ্যায়ঁ উনহী কী রঙ্গত গুলাব মেঁ হ্যায় ॥

ফুলের পূঁজি কি তাঁরই সে সৌরভ, রূপচ্ছটা তাঁর বসন্তে গৌরব,
তাঁরই করুণা বাগানে বৈভব, তাঁরই রূপে ফুল রাঙ্গা বাগিচায় ॥
———————

তেরী জলো মে হ্যায় মাহে তায়বা, হেলাল হার মর্গ ও যিন্দেগী কা,
হায়াত জাঁ কা রেকাব মেঁ হ্যায় মামাত আ`দা কা ডাব মেঁ হ্যায় ॥

মাদিনারই চাঁদ তোমারই কব্জায়, ধরা আছে জান, থাকে কিবা যায়,
তোমারই অশ্বের রেকাবে প্রাণ হায়, মরণ শত্রুর সেও এ কব্জায় ॥
———————

সিয়া লিবাসানে দারে দুনিয়া ও সবযে পোশানে আরশে আ’লা,
হার এ্যাক হ্যায় উনকে করম কা পিয়াসা ইয়ে কয়যে উনকী জনাব মেঁ হ্যায় ॥

কালো পোষাকে এ দুনিয়াওয়ালা কী আরশে সবুজ লেবাসওয়ালা,
সবার আছে তাঁর দয়ার পিয়াসা, চরণে যায় যে করুনা সেই পায় ॥
———————

উঅহ গুল হ্যায় লবহায়ে নাযুক উনকে, হাযারো ঝড়তে হ্যায় ফুল জিন সে,
গুলাব গুলশান মে দেখে বুলবুল ইয়ে দে খ গুলশান গুলাব মেঁ হ্যায় ॥

সে পুষ্পসম কোমল দু’ঠোঁটে হাজারো পুষ্প ঝরে ও ফোটে,
কাননে ফুল তাই অলিরা জোটে, কত মালঞ্চ এ পুষ্প শোভায় ॥
———————

জলী হ্যায় সোযে জিগর সে জাঁ তক, হ্যায় তালেবে জলওয়ায়ে মোবারক,
দেখা দো উঅহ লব কেহ্ আবে হায়ওয়াঁ কা লুৎফ জিনকে খেতাব মেঁ হ্যায় ॥

কী মর্ম জ্বালায় এ দগ্ধ অন্তর, হেরিতে চায় সে শোভা নিরন্তর,
দেখাও দেখাও সে পবিত্র অধর, রয় আবে হায়াত যারি সে ভাষায় ॥
———————

খাড়ে হ্যায়ঁ মুনকার নকীর সর পর না কোয়ী হামী না কোয়ী আ-ওয়ার,
বাতাদো আ কর মেরে পয়াম্বর কেহ সখ্ত মুশকিল জওয়াব মেঁ হ্যায় ॥

শিয়রে মুনকার নকীর দাঁড়িয়ে, না আসে বন্ধু কেউ আগ বাড়িয়ে,
এসো সওয়ালের জওয়াব শিখায়ে কী সঙ্কটে দাস আজি অসহায় ॥
———————

খোদায়ে কাহহার হ্যায় গযব পর, খুলে হ্যাঁয় বদ কারীয়োঁ কে দফতর,
বাচালো আ কর শফীয়ে মাহশর তুমহারা বান্দা আযাব মে হ্যায় ॥

গজবে আছেন খোদা সে কাহহার, হিসাবে পাপী কঠিন সে দরবার,
বাঁচাও এসে হে শফীয়ে মাহশার, তোমারই বান্দা কী দূর্দশায় ॥
———————

করীম এ্যায়সা মিলা কেহ্ জিসকে খুলে হ্যাঁয় হাথ আওর ভরে খাযানে
বাতাও এ্যায় মুফলেসো কেহ্ ফির কিউঁ তুমহারা দিল ইদতিরাব মেঁ হ্যায় ॥

মিলেছে দাতা কী মুক্ত হস্ত, সে রাজকোষও তাঁর কী প্রশস্ত,
বলো হে দুঃস্থ, হে রিক্তহস্ত তবু কেন মন তব আশঙ্কায় ॥
———————

গুনাহ কী তারীকিয়াঁ ইয়ে ছুপা’য়ে আমন্ড কে কালী ঘটায়ে আ-য়েঁ
খোদা কে খোরশীদ মেহর ফরমা কেহ যররা বস ইদতিরাব মে হ্যাঁয় ॥

পাপের আঁধারে ছেয়েছে এ মন, গ্লানির কালিমা জমলো যে ক্ষণ,
খোদারই সূর্য করুণা এখন অনুপরিমাণ সার এ দশায় ॥
———————

করীম আপনে করম সদকা, লঈম বে কদর কো না শরমা,
তু আউর রেযা সে হেসাব লে’না রেযা ডী কোঈ হেসাব মে হ্যাঁয় ॥

দাতা তোমারই দানের দোহাই এ ক্ষুদ্র অধীনে ফেলোনা লজ্জায়,
অপর কাউকে হিসাবে নেওয়া যায়, রেযা বুঝি সে হিসেবে গোনা যায় ॥
———————

 

 

মুঝদা বা-দ আয় আসিয়োঁ শাফে শাহে আবরার হ্যায়
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

মুঝদা বা-দ আয় আসিয়োঁ শাফে শাহে আবরার হ্যায়,
তাহনিয়ৎ আয় মুজরিমো যাতে খোলা গফ্ফার হ্যায় ॥

দেই সুসংবাদ হে দীনহীন, আছে শফীয়ে মুখনেবীন,
খুশী হ’সব পাপীরা আজ, গাফফার রাব্বে আলামীন ॥
———————-

আরশ সা ফরশে যমী হ্যায়, ফর্শপা আরশে বরী,
কিয়া নিরালী তরয কী নামে খোদা রফতার হ্যায় ॥

আরশসম এই যে যমীন, পা’য় ঝুঁকে আরশে বরীণ,
আল্লাহ, আল্লাহ্! কী অভিনব সফরে না সেই আল আমীন ॥
———————-

চান্দ শক হো পেড় বোলেঁ জানওয়ার সাজদে করেঁ,
বারাকাল্লাহ মারজায়ে আলম ইয়েহী সরকার হ্যায় ॥

টুকরো হয় চাঁদ, গাছ কথা কয়, পশু সিজদায় পতিত হয়,
সুবহানাল্লাহ্। কেন্দ্র সৃষ্টির এই আসনেই সমাসীন ॥
———————-

জিনকো সুয়ে আসমাঁ পেহলাকে জল থল ভর দিয়ে,
সদকা উন হাথোঁ কা পিয়ারে হামকো ভী দরকার হ্যায় ॥

উঠায়ে যা আসমানের দিক, ভরলে যমীন জল চারিদিক,
সেই প্রিয় হাতের ওয়াসীলা চাই তৃষিত এই অধীন ॥
———————-

লব যেলালে চশমায়ে কুন মেঁ শুনধে ওয়াক্তে খমীর,
মুর্দে যিন্দা করনা আয় জাঁ তুম কো কিয়া দুশওয়ার হ্যায় ॥

‘কুন’ শরাবে সিক্ত সেই মুখ, সৃষ্টিলগ্নেই স্রষ্টা উৎসুক,
মুদ্দাঁ যিন্দা করতে সেই মুখ নয় তো কষ্টের সম্মুখীন ॥
———————-

গোরে গোরে পাউঁ চমকা দো খোদাকে ওয়াস্তে,
নূর কা তড়কা হো পিয়ারে গোর কী শব তার হ্যায় ॥

ফর্সা ফর্সা পাক দু’চরণ, দোহাই আল্লাহর, করো অর্পন,
নূরে দাও প্রভাত ফুটিয়ে, গোরের এই রাত হোক না দিন ॥
———————-

তেরে হী দামান পের হার আসী কী পড়তী হ্যায় নযর,
এ্যাক জানে বে খাত্বা পর দো জ্যাঁ কা বার হ্যায় ॥

সব পাপী উম্মুখ চেয়ে রয়, দামান তোমার নসীব কি হয়,
একটি নিষ্পাপ প্রাণে বোঝা দোজাহানের সেই জামিন ॥
———————-

জোশে তুফাঁ বাহরে বে পায়াঁ হাওয়া না সায গার,
নূহ কে মাওলা করম করলে তু বেড়া পার হ্যায় ॥

জোর তুফান, সাগর যে অকুল বইছে হাওয়া কী প্রতিকুল,
নূহের ওত্রানকর্তা চাইলে কাটবে হাল এ অন্তরীণ ॥
———————-

রহমাতুল্লিল আলামী তে-রী দুহাঈ দব গ্যায়া,
আর তু মাওলা বে তরেই সরপর শুনাহ কা বার হ্যায় ॥

এ গোলাম আজ গেল ফেঁসে পাপের বোঝা মাথাতে সে,
দোহাই ত্বরাও, তুমি এসে রাহমাতুল্লিল আলামীন ॥
———————-

হায়রাতেঁ হ্যায়ঁ আঈনাদারে উরে এসাসফে গুল,
উনকে বুলবুল কী খমুশী তী লবে ইযহার হ্যায় ॥

বিস্ময়ে এই নিরবতা, প্রচুর না’তের কথকতা,
প্রেম বাগের এ বুলবুলিটার চুপ হওয়াই যে প্রেমবীণ ॥
———————-

গো ঞ্জ- গোঞ্জ উঠছে হ্যাঁয় নগমাতে রেখা সে বো স্তাঁ
কি্উঁ হো কিস ফুল কী মিদহাত মে ওয়া মিনকার হ্যায় ॥

অনুরণিত এই কানন, রেযার কন্ঠে সুর ও বচন,
নাই বা কেন ফুল সে কেমন, যাঁর গানে সব সুর বিলীন ॥
———————-

 

 

সরওয়ার কহোঁ কেহ মালেক ও মাওলা কহোঁ তুঝে
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

সরওয়ার কহোঁ কেহ মালেক ও মাওলা কহোঁ তুঝে,
বাগে খলীল কা গুলে যে-বা কহোঁ তুঝে ॥

বাদশাহ বলি, কি মাওলা, মালিক বলি তোমায়,
বাগে খলীলেরই ফুল ঠিক বলি তোমায় ॥
——————–

হেরমাঁ নসীব হো তুঝে উম্মীদ গ্যাহ্ কহোঁ,
জানে মুরাদ ও কা’নে তামান্না কহোঁ তুঝে ॥

বঞ্চিত ভাগ্য মোর, তবু আশার নাহিতো ওর,
আশার জীবন রত্ন মানিক বলি তোমায় ॥
——————–

গুলযারে কুদস কা গুলে রঙ্গী আদা কহোঁ,
দরমানে দরদে বুলবুলে শায়দা কহোঁ তুঝে ॥

কুদসী কাননে ফুল রূপে রংয়ে অতুল,
বুলবুল প্রাণে প্রশান্তি সঠিক বলি তোমায় ॥
——————–

সুবহে ওয়াতান পেহ্ শামে গরীবাঁ কো দোঁ শরফ,
বে-কস নওয়াযে গেসোঁ ওয়ালা কহোঁ তুঝে ॥

স্বস্তির প্রভাত না চাই, কষ্টে এ রাত কাটাই,
দুঃখীর সারথী, দক্ষ নাবিক বলি তোমায় ॥
——————–

আল্লাহ্ রে তেরে জিসমে মুনাওয়ার কী তাবিশেঁ
আয় জানে জাঁ হেঁ জানে অজল্লা কহোঁ তুঝে ॥

নূরানী যাতের আলো, কাটে সকল কালো,
জানের ও জান, তজল্পী মৌলিক বলি তোমায় ॥
——————–

বে দাগ লালা ইয়া কমরে বে কুলফ কহোঁ,
বে খার গুল বনে চমন আ-রা কহোঁ তুঝে ॥

তুমি দাগবিহীন ফুল, যে চাঁদে নেই কলঙ্ক চুল,
কাঁটাহীন ফুলে অলৌকিক বলি তোমায় ॥
——————–

মুজরিম হোঁ আপনে আফও কা সামাঁ করোঁ শাহা,
ইয়ানি শফী’ রোযে জাযা কা কহোঁ তুঝে ॥

মুনিব, আমি গোনাগার, উপায় করি যে ক্ষমার,
হাশরে সে শাফাআত সঠিক বলি তোমায় ॥
——————–

ইস মুর্দা দিল কো মুঝদাহ্ হায়াতে আবাদ কা দোঁ
তা-ব ও তাওয়ানে জানে মসীহা কহোঁ তুঝে ॥

মৃত প্রাণে সুসংবাদ, চিরহায়াতে আবাদ,
ঈসার সঞ্জীবনী চৌদিক বলি তোমায়!
——————–

তেরে তু ওয়াসফে আইব তানাহী সে হ্যায়ঁ বরী,
হায়রাঁ হোঁ মেরে শাহ্ ম্যায়ঁ কিয়া কিয়া কহোঁ তুঝে ॥

কত গুন অফুরন্ত শেষ নেই, তা অনন্ত,
হয়রান এ মন চায় আরো অধিক বলি তোমায়।
——————–

কেহ লেগী সব কুছ উনকে সনাখাঁ কী খামশী,
চুপ হো রাহা হ্যায় কেহ্ কে ম্যায়ঁ কিয়া কিয়া কহোঁ তুঝে ॥

তারীফ করেছে যাঁরা, নির্বাক, ভাষাহারা,
চুপ হই তো সৃষ্টিতে লা-শরীক বলি তোমায় ॥
——————–

লে-কীন রেখা নে খতমে সুখন ইস গেহ কর দিয়া,
খালিক্ব কা বান্দা খাল্কা কা আ-কা কহোঁ তুঝে ॥

কিন্তু রেখা কথা তাঁর, বলে শুধু এ সার,
স্রষ্ঠার এ বান্দা, সৃষ্টির মালিক বলি তোমায় ॥
——————–

 

 

চমক তুঝ সে পাতে হ্যায়ঁ সব পানে ওয়ালে
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

চমক তুঝ সে পাতে হ্যায়ঁ সব পানে ওয়ালে,
মেরা দিল ভী চমকা দে চমকানে ওয়ালে ॥

জ্যোতির উৎস তুমি, পাওয়ার যে পেয়ে যায়,
বিকীর্ণ করো নূর আমারই এ আত্মায় ॥
—————

বরসতা নেহী দে-খ্ কর আবরে রহমত,
বদোঁ পর ভী বরসাদে বরসানে ওয়ালে ॥

করুণার যে ধারা, অদেখাই সে ঝরা,
করো গো হে বর্ষণ পাপীদের এ সত্ত্বায় ॥
—————

মদীনাহ্ কে খিত্তে খোদা তুঝ কো রাক্ষে,
গরীবোঁ ফকীরোঁ কে টেহরানে ওয়ালে ॥

মদীনার এলাকায়, খোদা রাখে সে তোমায়,
গরীব আর ফকীরে বাঁচাবে সে দয়ায় ॥
—————

তু যিন্দা হ্যায় ওয়াল্লাহ্ তু যিন্দা হ্যায় ওয়াল্লাহ্,
মেরে চশমে আলম সে ছুপ জানে ওয়ালে ॥

শপথ, তুমি যিন্দা শপথ তুমি যিন্দা,
এ পার্থিব চোখে, কভু দেখতে না পায় ॥
—————

ম্যায় মুজরিম হোঁ আকা মুঝে সাথ লেলো,
কেহ রাস্তে মে হ্যায়ঁ জা বজা থানে ওয়ালে ॥

আমি তো গুনাহগার, সংগে নিও তোমার,
পথে পথে পাকড়াওকারীরা সদাশয় ॥
—————

হেরম কী যমী আওর কদম রাখ কে চলনা,
আরে সর কা মওকা হ্যায় উ জানে ওয়ালে ॥

হেরমের যমীন তায়, এ চরণ ফেলা দায়,
হে পথিক ঝুঁকাও শির আদবে যে তাই চায়॥
—————

চল উঠ জবহাহ্ ফরসা হো সাকী কে দর পর,
দরে জু-দ আয় মে-রে মসতানে ওয়ালে ॥

ঘষে তোর সে কপাল, দ্বারে আয় রে বেহাল,
সাকীর দ্বারে বইছে, করুণা নিতে আয় ॥
—————

তেরা খায়েঁ তেরে গোলামোঁ সে উলঝেঁ,
হ্যায় মুনকির আজব খানে গুররানে ওয়ালে ॥

তোমার খায়, তোমার এ দাসেরে উজাড়ে
এ শত্রু আজব! কার খেয়ে কার গেয়ে যায় ॥
—————

রহেগা ইউঁহী উনকা চর্চা রহেগা,
পড়ে খাক হো জায়েঁ জল জানে ওয়ালে ॥

রয়ে যাবে তোমার, চর্চা এরূপ আর,
পুড়ে হোক সে অঙ্গার যে হিংসায় জ্বলে যায় ॥
—————

আব আ-ঈ শাআত কা সা’আত আব আ-ঈ
যরা চ্যাইন লে মেরে ঘবরানে ওয়ালে ॥

এসেছে সে এখন, সুপারিশ ঝরা ক্ষণ,
ধরো ধৈর্য একটু, ভয়ে যে মৃতপ্রায় ॥
—————

রেযা নফসে দুশমন হ্যায় দম মে না আনা,
কাহাঁ তুমনে দে-খে হ্যায়ঁ চন্দরানে ওয়ালে ॥

রেযা নফস ও দুশমন, করো না অনুসরণ,
পথে রাখতে তোড়জোড়, কে আছে আজি হায় ॥
—————

 

পেশে হক মুঝদা শাফাআত কা
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

পেশে হক মুঝদা শাফাআত কা সুনাতে জায়েঙ্গে,
আপ রোতে জায়েঙ্গে হামকো হাঁসাতে জায়েঙ্গে ॥

আল্লাহ্ তালার সামনে সেদিন করতে রইবে শাফাআত,
কাঁদবে নিজে চাইবে উম্মত পায় যেন হাসি, নাজাত ॥
——————

দিল নিকল জানে কী জা হ্যায় আ-হ কিন আখোঁ সে উঅহ,
হামসে পেয়াসোঁ কে লিয়ে দরইয়া বাহাতে জায়েঙ্গে ॥

কান্না এমন দীর্ণ হৃদয়, অশ্রুধারা প্রাণ যে না সয়,
উম্মতের তৃষ্ণা মেটাতেই নবীজির এ অশ্রুপাত ॥
——————

কুশতগানে গরমিয়ে মাহশার কো উঅহ জানে মসীহ,
আ-জ দামান কী হাওয়া দে কর জিলাতে জায়েঙ্গে ॥

মাহশরে প্রাণ ওষ্ঠাগত, তাঁর ছোঁয়াতে ফের জীবন্ত,
দামানের ঠান্ডা হাওয়াতে সে দিন দেবে আবে-হায়াত ॥
——————

গুল খিলে গা আজ ইয়ে উনকী নসীমে ফয়য সে,
খোন রোতে আ-য়েঙ্গে হাম মুসকুরাতে জায়েঙ্গে ॥

আনবে রোদন রহমতের জোশ, খুলবে কপাল, ফুল হবে দোষ,
রক্ত-অশ্রু বর্ষে নবী আনবে মোদের খোশবরাত ॥
——————

হাঁ চলো হাসরাতাদো সুনতে হ্যাঁয় উঅহ্ দিন আজ হ্যায়,
থী খবর জিস কী কেহ উঅহ জলওয়া দেখাতে জায়েঙ্গে ॥

হ্যাঁ, চলো হে দুঃখে হতাশ, আজ হাশর যে দুঃখ-বিনাশ,
দেখব নবীর শান কারিশমা, রূপ দেখাবে নূরী -যাত ॥
——————

আজ ঈদে আশেকাঁ হ্যায় গর খোদা চাহে কেহ উঅহ,
আবরোয়ে পাইওয়াস্তাহ্ কা আলাম দিখাতে জায়েঙ্গে, ॥

আজ খুশীর ঈদ আশেকানের, চাইলে প্রভৃ দো’জাহানের,
মর্যাদার হবে সে মিছিল, পড়বো নবীর পিছে না’ত ॥
——————

কুচ খবর ডী হ্যায় ফকীরো আজ উঅহ দিন হ্যায় কেহ্ উঅহ,
নে মাতে খুলদ আপনে সদকে মে লুটাতে জায়েঙ্গে ॥

খবর আছে কী, সম্বল হীন, আজ কেমন সে দিন, হাশরের,
উম্মতে নেয়ামত বেহেশতী বিলাবে নূরানী হাত ॥
——————

খাকে উফতাদো বস উনকে আ-নে হাঁ কী দের হ্যায়,
সাজাদাহ্ মে উঅহ্ খোদগির কর তুম কো উঠাতে জায়েঙ্গে ॥

ভেবোনা হে দুঃখী উম্মত, আসার দেরী শুধুই হযরত
পড়বে সেজদায় নূর নবীজি, আনবে উম্মতের নাজাত ॥
——————

ওয়াসআতেঁ দী হ্যায়ঁ খোদা নে দামানে মাহবুব কো
জুর্ম খুলতে জায়েঙ্গে আওর উঅহ্ চুপাতে জায়েঙ্গে ॥

করল প্রভু কী প্রশস্ত, তাঁর হাবীবের দামান-দস্ত,
উম্মতের পাপ হোক না যত, লুকাবে সে আখেরাত ॥
——————

লো উত্সহ আ-য়ে মুসকুরাতে হাম আসীরোঁ কী তরফ,
খিরমানে ইসইয়াঁ পর আর বিজলী গিরাতে জায়েঙ্গে ॥

ওই আসে হাসি হাসিমুখ, কয়েদী পাবে মুক্তিরই সুখ,
পাপেরই স্তুপ নাশে তাঁর রহমতেরই রশ্মি পাত ॥
——————

আঁখ খোলো গময়দো দেখো উঅহ গিরইয়াঁ আয়ে হ্যায়ঁ,
লওহে দিল সে নকশে গম কো আব মিটাতে জায়েঙ্গে ॥

খোলো আঁখি, হে গোনাগার, ক্রন্দসী চোখ দেখো হে তাঁরে,
মানসপটে ব্যথার এই দাগ তুলবে তাঁরই মুনাজাত ॥
——————

সোখতাহ্ জানোঁ পেহ উঅহ পুর জোশে রহমত আয়ে হ্যাঁ,
আবে কাউসার সে লাগী দিল কী বুঝাতে জায়েঙ্গে ॥

আসবে নবী দগ্ধ হিয়ায়, প্লাবন তাঁর রহমত-দরিয়ায়,
‘আবে-কাওসার’ দেয় নিভিয়ে দুঃখীপ্রাণের অগ্নিপাত ॥
——————

আফতাব উনকা হী চমকে গা জব আওরোঁ কে চেরাগ,
সরসরে জোশে বালা সে ঝিলমিলাতে জায়েঙ্গে ॥

তাঁরই রোশনী রইবে সেদিন, অন্য প্রদীপকুল সে অচিন,
ঝড় তুফানে, সংকটে ‘নিভূ নিভৃ’ যায়, যায় হায়াত ॥
——————

পায়ে কোবাঁ পুল সে গুযরেংগে তেরী আওয়ায পর,
রাব্বি সাল্লিম কী সদা পর ওয়াজদ লাতে জায়েঙ্গে ॥

সেদিন শুনলে শব্দ তোমার, নির্ভাবনায় হবো যে পার,
“রাব্বি সাল্লিম’ দোয়ায় তুমি, আমরা পার হই পুলসিরাত ॥
——————

সরওয়ারে দী লীজে আপনে না- তাওয়ানোঁ কী খবর,
নফস ও শয়তাঁ সাইয়েদা কব তক দবাতে জায়েঙ্গে ॥

বাদশাহ্ ওগো দো জাহানের, নাও খবর এই অসহায়ের,
কদিন রইব মন্দ সত্তায়, শয়তানে করবে আঁতাত ॥
——————

হাশর তক ডালেংগে হাম পয়দাইশে মাওলা কী ধু-ম,
মিসলে ফারেস নজদ কী ক্বিল-এ গিরাতে জায়েঙ্গে ॥

হাশর তক করবো যে পালন, মীলাদে মোস্তফার পার্বন,
সেই পারস্যের মতই নজদের কেল্লা ভাঙব, করব মাত ॥
——————

খাক হো জায়ে আদুভ জল কর মগর হাম তো রেযা,
দম যে জব তক দম হ্যায় যিকির উনকা সুনাতে জায়েঙ্গে ॥


 

 

পেশে হক মুঝদা শাফাআত কা
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

পেশে হক মুঝদা শাফাআত কা সুনাতে জায়েঙ্গে,
আপ রোতে জায়েঙ্গে হামকো হাঁসাতে জায়েঙ্গে ॥

আল্লাহ্ তালার সামনে সেদিন করতে রইবে শাফাআত,
কাঁদবে নিজে চাইবে উম্মত পায় যেন হাসি, নাজাত ॥
——————

দিল নিকল জানে কী জা হ্যায় আ-হ কিন আখোঁ সে উঅহ,
হামসে পেয়াসোঁ কে লিয়ে দরইয়া বাহাতে জায়েঙ্গে ॥

কান্না এমন দীর্ণ হৃদয়, অশ্রুধারা প্রাণ যে না সয়,
উম্মতের তৃষ্ণা মেটাতেই নবীজির এ অশ্রুপাত ॥
——————

কুশতগানে গরমিয়ে মাহশার কো উঅহ জানে মসীহ,
আ-জ দামান কী হাওয়া দে কর জিলাতে জায়েঙ্গে ॥

মাহশরে প্রাণ ওষ্ঠাগত, তাঁর ছোঁয়াতে ফের জীবন্ত,
দামানের ঠান্ডা হাওয়াতে সে দিন দেবে আবে-হায়াত ॥
——————

গুল খিলে গা আজ ইয়ে উনকী নসীমে ফয়য সে,
খোন রোতে আ-য়েঙ্গে হাম মুসকুরাতে জায়েঙ্গে ॥

আনবে রোদন রহমতের জোশ, খুলবে কপাল, ফুল হবে দোষ,
রক্ত-অশ্রু বর্ষে নবী আনবে মোদের খোশবরাত ॥
——————

হাঁ চলো হাসরাতাদো সুনতে হ্যাঁয় উঅহ্ দিন আজ হ্যায়,
থী খবর জিস কী কেহ উঅহ জলওয়া দেখাতে জায়েঙ্গে ॥

হ্যাঁ, চলো হে দুঃখে হতাশ, আজ হাশর যে দুঃখ-বিনাশ,
দেখব নবীর শান কারিশমা, রূপ দেখাবে নূরী -যাত ॥
——————

আজ ঈদে আশেকাঁ হ্যায় গর খোদা চাহে কেহ উঅহ,
আবরোয়ে পাইওয়াস্তাহ্ কা আলাম দিখাতে জায়েঙ্গে, ॥

আজ খুশীর ঈদ আশেকানের, চাইলে প্রভৃ দো’জাহানের,
মর্যাদার হবে সে মিছিল, পড়বো নবীর পিছে না’ত ॥
——————

কুচ খবর ডী হ্যায় ফকীরো আজ উঅহ দিন হ্যায় কেহ্ উঅহ,
নে মাতে খুলদ আপনে সদকে মে লুটাতে জায়েঙ্গে ॥

খবর আছে কী, সম্বল হীন, আজ কেমন সে দিন, হাশরের,
উম্মতে নেয়ামত বেহেশতী বিলাবে নূরানী হাত ॥
——————

খাকে উফতাদো বস উনকে আ-নে হাঁ কী দের হ্যায়,
সাজাদাহ্ মে উঅহ্ খোদগির কর তুম কো উঠাতে জায়েঙ্গে ॥

ভেবোনা হে দুঃখী উম্মত, আসার দেরী শুধুই হযরত
পড়বে সেজদায় নূর নবীজি, আনবে উম্মতের নাজাত ॥
——————

ওয়াসআতেঁ দী হ্যায়ঁ খোদা নে দামানে মাহবুব কো
জুর্ম খুলতে জায়েঙ্গে আওর উঅহ্ চুপাতে জায়েঙ্গে ॥

করল প্রভু কী প্রশস্ত, তাঁর হাবীবের দামান-দস্ত,
উম্মতের পাপ হোক না যত, লুকাবে সে আখেরাত ॥
——————

লো উত্সহ আ-য়ে মুসকুরাতে হাম আসীরোঁ কী তরফ,
খিরমানে ইসইয়াঁ পর আর বিজলী গিরাতে জায়েঙ্গে ॥

ওই আসে হাসি হাসিমুখ, কয়েদী পাবে মুক্তিরই সুখ,
পাপেরই স্তুপ নাশে তাঁর রহমতেরই রশ্মি পাত ॥
——————

আঁখ খোলো গময়দো দেখো উঅহ গিরইয়াঁ আয়ে হ্যায়ঁ,
লওহে দিল সে নকশে গম কো আব মিটাতে জায়েঙ্গে ॥

খোলো আঁখি, হে গোনাগার, ক্রন্দসী চোখ দেখো হে তাঁরে,
মানসপটে ব্যথার এই দাগ তুলবে তাঁরই মুনাজাত ॥
——————

সোখতাহ্ জানোঁ পেহ উঅহ পুর জোশে রহমত আয়ে হ্যাঁ,
আবে কাউসার সে লাগী দিল কী বুঝাতে জায়েঙ্গে ॥

আসবে নবী দগ্ধ হিয়ায়, প্লাবন তাঁর রহমত-দরিয়ায়,
‘আবে-কাওসার’ দেয় নিভিয়ে দুঃখীপ্রাণের অগ্নিপাত ॥
——————

আফতাব উনকা হী চমকে গা জব আওরোঁ কে চেরাগ,
সরসরে জোশে বালা সে ঝিলমিলাতে জায়েঙ্গে ॥

তাঁরই রোশনী রইবে সেদিন, অন্য প্রদীপকুল সে অচিন,
ঝড় তুফানে, সংকটে ‘নিভূ নিভৃ’ যায়, যায় হায়াত ॥
——————

পায়ে কোবাঁ পুল সে গুযরেংগে তেরী আওয়ায পর,
রাব্বি সাল্লিম কী সদা পর ওয়াজদ লাতে জায়েঙ্গে ॥

সেদিন শুনলে শব্দ তোমার, নির্ভাবনায় হবো যে পার,
“রাব্বি সাল্লিম’ দোয়ায় তুমি, আমরা পার হই পুলসিরাত ॥
——————

সরওয়ারে দী লীজে আপনে না- তাওয়ানোঁ কী খবর,
নফস ও শয়তাঁ সাইয়েদা কব তক দবাতে জায়েঙ্গে ॥

বাদশাহ্ ওগো দো জাহানের, নাও খবর এই অসহায়ের,
কদিন রইব মন্দ সত্তায়, শয়তানে করবে আঁতাত ॥
——————

হাশর তক ডালেংগে হাম পয়দাইশে মাওলা কী ধু-ম,
মিসলে ফারেস নজদ কী ক্বিল-এ গিরাতে জায়েঙ্গে ॥

হাশর তক করবো যে পালন, মীলাদে মোস্তফার পার্বন,
সেই পারস্যের মতই নজদের কেল্লা ভাঙব, করব মাত ॥
——————

খাক হো জায়ে আদুভ জল কর মগর হাম তো রেযা,
দম যে জব তক দম হ্যায় যিকির উনকা সুনাতে জায়েঙ্গে ॥


 

ইয়া ইলাহী হার জাগাহ্ তেরী আত্বা কা সাথ হো
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ
ইয়া ইলাহী হার জাগাহ্ তেরী আত্বা কা সাথ হো,
জব পড়ে মুশকিল শাহে মুশকিল কোশা কা সাথ হো ॥

প্রভু হে আমার, সবখানে যেন তোমার করুণা সঙ্গেঁ রয়,
সংকটে যদি পড়ি তবে যেন উদ্ধারকারী সঙ্গে রয়।
——————-

ইয়া ইলাহী ভূল জা-ওঁ নযএ কী তকলীফ কো,
শাদীয়ে দীদারে হুসনে মুস্তফা কা সাথ হো ॥

প্রভু শুনে রাখো, ভুলে যাব আমি মরণ যাতনা বেদনাময়,
নবীজির চির মমতার রূপ, যদি এ মুগ্ধ নয়নে রয়।
——————-

ইয়া ইলাহী গোরে তীরাহ্ কী জব আয়ে সখত রাত,
উনকে পেয়ারে মুইঁ কী সুবহে জাঁফযা কা সাথ হোঁ ॥

প্রভু হে যখন আধাঁর কবরে কঠিন রাত্রি শংকাময় ।
সেই প্রিয় মুখে নুরানী প্রভাত জুটে যায় দি,
——————-

ইয়া ইলাহী জব পড়ে মাহশর মে শোরে দারওগীর,
আমন দেনে ওয়ালে পিয়ারে পেশওয়া কা সাথ হো ॥

হাশরে যখন পাকড়াও কালে গর্জন শোর কানে না সয়,
নিরাপত্তার বিধায়ক নবী সাথী হোক প্ৰভু হে দয়াময় ।
——————-

ইয়া ইলাহী সরদ মেহরী পর হো জব খোরশীদে হাশর,
সাইয়েদে বে-সায়া কে যিল্লে লিওয়া কা সাথ হো ॥

হে প্রভু, যখন পাপীর উপরে হাশর সূর্য হবে উদয়,
ছায়াহীন সেই নবীর নিশান ছায়াতে যেন গো পাই আশ্রয়।
——————-

ইয়া ইলাহী গরমিয়ে মাহশার সে জব ভড়কে বদন,
দামানে মাহবুব কী ঠান্ডী হাওয়া কা সাথ হো ॥

পুড়বে যখন অঙ্গ হাশরে ভীষণ সেতাপ অগ্নিময়,
নবীর আচঁলছোয়া সে ঠাণ্ডা হাওয়ায় যেন তা শীতল হয়।
——————-

ইয়া ইলাহী নামায়ে আমাল জব খুলনে লাগে,
আইব পোশে খাল্ক,সাত্তারে খাত্বা কা সাথ হো ॥

ওগো দয়াময় আমলনামার হিসাব যখন সূচনা হয়,
ত্রুটিবিচ্যুতি গোপনকারী সে প্রিয়নবী যেন সঙ্গে রয়।
——————-

ইয়া ইলাহী জব বহে আখে হেসাবে জুরম মেঁ,
উন তাবাসসুম রে-যে হোঁটো কী দু’আ কা সাথ হো ॥

হে খোদা যখন পাপের গ্লানিতে ছেপে দু নয়ন অশ্রু বয়,
মৃদু হাসিময় পাক সে আঁধারে আশীষ যেন গো সঙ্গে রয়।
——————-

ইয়া ইলাহী জব হেসাবে খান্দাহ বে জা রোলায়ে,
চশমে গিরইয়ানে শফীয়ে মুরতাজা কা সাথ হো ॥

অযথা হাসির অনুশোচনায় কাঁদব যবে হে মহিমাময়,
ক্রন্দসী চোখে সুপারিশকারী সাথে হোন চির নিঃসংশয়।
——————-

ইয়া ইলাহী রঙ্গ লায়ে জব মেরী বে বাকীয়াঁ,
উনকী নীচী নীচী নযরোঁ কী হায়া কা সাথ হো ॥

হাশরে যখন দেখব আমার লাগামহীনতা যত বিষয়,
তাঁর সে আনত দৃষ্টি লাজের সোহবত যেন নসীব হয় ।
——————-

ইয়া ইলাহী জব্ সরে শমশীর পর চলনা পড়ে,
‘রাব্বি সাল্লিম’ কেহনে ওয়ালে গমযদা কা সাথ হো

শুনগো দয়াল শমসের ধারে চলবে যখন চরণদ্বয়,
‘রক্ষা করো হে প্রভু’ বলে সেই সমব্যথী যেন আশীষ কয় ।
——————-

ইয়া ইলাহী জু দুআয়ে নেক ম্যাঁয় তুঝ সে কারোঁ,
কুদসীয়োঁ কে লব সে ‘আমীন রাব্বানা’ কা সাথ হো ॥

তোমার সকাশে প্রভু হে আমার যতনা ভিক্ষা পূণ্যময়,
সে দোয়ায় যেন পবিত্র মুখ ফেরেশতারাও ‘আমীন’ কয়।
——————-

ইয়া ইলাহী জব রেযা খাবে গিরাঁসে সর উঠায়ে,
দওলতে বে দার ইশকে মুস্তফা কা সাথ হো ॥

ঘুমঘোর কেটে যখন রেখার এই শির উত্তোলিত হয়,
চেতনার ধন ইশকে রাসুল সাথী হোক থাকি যত সময় ।
——————-

 

 

হাজীউ আও শাহেনশাহ্ কা রওযা দেখো
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

হাজীউ আও শাহেনশাহ্ কা রওযা দেখো,
কা’বা তু দেখ ঢুকে কা’বা কা কা’বা দেখো ॥

হাজীপ্রাণ ছুটে এসো হেথা রাজাধিরাজ,
কাবা তো দেখলে, এখন দেখো কাবারই রাজ।
———————

রকনে শামী সে মিটী ওয়াহশাতে শামে গুরবাৎ,
আব মদীনা কো চলো সুবহে দিল আরা দেখা

রুকনে শামীতে কাটে, যত আঁধার বিজন-বাটে
মদীনাতে প্রাণ নাথ আছে, সেথা চলো আজ ॥
———————

আ’বে যমযম তু পিয়া খোব বুজহায়েঁ পেয়াসেঁ
আও জুদে শাহে কওসর কা ভী দরইয়া দেখো ॥

আবে যমযম্ তো পেলে, পিয়াস তো খুব মেটালে,
কাওসারওয়ালার দয়ার জোয়ার দেখে নাও আজ ।
———————

যেরে মীযাব মিলে খোব করম কে ছিঁটে,
আবরে রহমত কা ইয়াহাঁ যোর বরসনা দেখো ॥

মীযাবে রহমত হতে, দয়াসিক্ত হলে মেতে,
মায়ামেঘমালা হতে অঝোরে বরষে নেয়াজ ।
———————

ধূম দেখি হ্যায় দরে কা’বা পেহ্ বেতাবোঁ কী
উনকে মুশতাকোঁ যে হাসরত কা তড়পানা দেখো ॥

ধরে কাবারই সে আর্চল, অনুরাগীদের কোলাহল,
নবীজির প্রেমিকের হাহু তাশ! শোন তারই আওয়াজ ॥
———————

মিসলে পরওয়ানা ফিরা করতে থে জিস শমআকে গির্দ,
আপনি উস শমআ কো পরওয়ানা ইয়েহাঁ কা দেখো ॥

পতঙ্গসম ত্যাজে প্রাণ, যে প্রদীপে করে সন্ধান,
নিজ সেই প্রদীপের পতঙ্গ পুঁড়ে হেথা আজ ॥
———————

খোব আখোঁ সে লাগায়া হ্যায় গিলাফে কা’বা,
ক্বসরে মাহবুব কে পরদে কা ভী জলওয়াহ্ দেখো ॥

কাবার ওই পুত্র গিলাফ, চোখে মুছে জুড়ালে তাপ,
তাঁরই প্রিয় নবীরই পর্দা! দেখ অপূর্ব সাজ ॥
———————

ওয়াঁ মুত্বীয়োঁ কা জিগর খওফ সে পানি পায়া,
ইয়াঁ সিয়াহ্ কারোঁ কা দামান পেহ্ মচলনা দেখো ॥

যত নেক বান্দা কাবায়, ভয়ে অন্তরাত্মা শুকায়,
হেথা দামানে মাখামাখি যতো পাপী সমাজ ॥
———————

আউয়ালী খানায়ে হক কী তু যিয়ায়েঁ দেখেঁ,
আখেরী বাইতে নবী কা ভী তজল্লা দেখো ॥

প্রথমে দেখলে কাবা’র, জ্যোতি অহরহ আল্লাহর,
শেষে প্রিয় নবীর নিবাসের দেখো সাজ ॥
———————

যীনাতে কাবা মে থা লাখ আরুসোঁ কা বনোও,
জলওয়া ফরমা ইয়েহাঁ কওনাইন কা দু-লহা দেখো ॥

লাখো বাসরের সজ্জা, ঝলমলে রূপ কাবার পর্দা,
দোজাহানের দুলহা দেখো শিরে নূরের তাজ ॥
———————

আইমনে তুর কা থা রুকনে ইয়ামানী মেঁ ফরোগ,
শো লায়ে তুর, ইয়েহাঁ আনজুমান আরা দেখো ॥

আয়মনে তুর কুরআনে যা রুকনে ইয়ামানীতে আছে তা,
তুৱেৱই দীপ্ত শিখাটা মদীনাতে দেখ আজ ॥
———————

মেহরে মাদার কা মযা দেতী হ্যায় আগোশে হাতীম,
জিনপেহ্ মাঁঁ বাপ ফেদা ইয়াঁ করম উনকা দেখো ॥

হাতীমে কাবার ছিল বেষ্টন, মমতা ভরা মায়ের ও বাধঁন,
বাবা-মা যাঁর পায়ে নত করুনা তাঁর নিও আজ ।
———————

আরবে হাজাত মেঁ রাহা কা’বা কফীলে আনজাহ
আদাব দান রসীয়ে শাহে তৈয়বা দেখো ॥

হাজত যত সামনে নিয়ে, কা’বা যায় সব মুক্তি দিয়ে
মুক্তিপাগল উম্মত হেখা লুকায় নিজ নিজ লাজ ॥
———————

ধো চুকা যুলমাতে দিল বোসায়ে সনগে আসওয়াদ,
থাকে বুসীয়ে মদীনা কা ভী রুতবা দেখো ॥

হাজরে আসওয়াদে যে না চুম্বন, দিলে আঁধার হলোই মোচন
চুমলে মাটি মর্যাদা পাই দেখো মদীনারই মাঝ ॥
———————

কর চুকী রিফআতে কা’বা পেহ নযর পরওয়ায়েঁ,
টুপী আর থাম কে থাকে দর ওয়ালা দেখো ॥

কা’বারই উচ্চতা দেখে, দৃষ্টি তোমার শূন্য চাখে,
টুপি মাথে নবীর মাটি বানাও জায়নামায ॥
———————

বে নয়াযী সে ওয়াহাঁ কাঁপতী পায়ী ত্বআত
জোশে রহমত পেহ ইয়েহাঁ নায গুনাহ্ কা দেখো ॥

প্রতাপশালী খোদার তাপে, হেথায় নেকী ভয়ে কাঁপে,
দয়ার জোয়ার নবীর দ্বারে, ভিড়ে পাপী সমাজ ॥
———————

জুমআয়ে মক্কা থা ঈদ আহলে ইবাদত কেলিয়ে,
মুজরেমোঁ আ-ও ইয়েহাঁ ঈদে দো শোম্বা দেখো ॥

মক্কাতে ঈদ জুমার দিনে, পূণ্যবান তা ঠিকই চিনে,
পাপী দেখো সোমবারে ঈদ মদীনায় সাজ, সাজ!
———————

মুলতাযিম সে তু গলে লাগ কে নিকালে আরমাঁ
আদব ও শাওক্ব কা ইয়াঁ বাহাম উলঋনা দেখো ॥

মুলতাযিমকে জড়িয়ে ধরে, মাঙলে অনেক কান্না করে,
আদব আশার এই মিতালী মদীনারই মাঝ ॥
———————

খো-ব মাসলা মেঁ বউমীনে বা সফা দোড় লিয়ে,
রেহ জানাঁ কী সফাকা ভী তামাশা দেখো ॥

সাফা ও মারওয়ার বুকে, ছুটলে তো খুব পূন্যসুখে,
থামো, হেথা দিল সাফাইর দেখো এ কারুকাজ ॥
———————

রকসে বাসমাপ কী বাহারেঁ তু মিনা মেঁ দে-খেঁ
দিলে ধোন নাবাহ্ ফশাঁ কাজী তড়পনা দেখো ॥

হাদীর প্রাণীর কী আন্দোলন, দেখলে মিনায় সেই আবেদন,
হিয়ার জখম তড়পে কেমন দেখো মদীনাতে আজ ॥
———————

গওর সে সুন তু রেখা কা’বা সে আতী হ্যায় সদা,
মেরী আখোঁ সে মেরে পেয়ারে কা রওযা দেখো ॥

মন দিয়ে রেযা শোন, আর্তি করে কারা যেন,,
এ নয়নে দেখো মম, বন্ধু সে মদিনার মাঝ ॥
———————

 

 

উঅহ কামালে হুসনে হুযুর হ্যায়
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

উঅহ কামালে হুসনে হুযুর হ্যায় কেহ্ গুমানে নকসে জাহাঁ নেহী,
ইয়েহী ফুল খার সে দূর হ্যায়, ইয়েহী শমআ হ্যায় কেহ্ ধোঁয়া নেইী॥

কী অনিন্দ্য রূপ মোর নবীজির, ভাবনা ত্রুটির ও নাই যেথায়,
সে যে ফুল এমন, যাতে কাঁটা নেই, সে তো দীপ এমন, নাহি ধোঁয়া তায় ।
———————

দোজাহাঁ কী বেহতরীয়াঁ নেহী কেহ আমানীয়ে দিল ও জাঁ নেহি
কহো কিয়া হ্যায় উত্সহ জু ইয়েহাঁ নেহী মগর ইক ‘নেহী’ কেহ উঅহ্ হাঁ নেহী॥

দু’ভুবনেরই কী না পাবে হিত, আশা না পুরোয় কী, সে বুঝি অতীত
বলো কী আছে যা হেথা নেই। তবে, ‘নাই শব্দটি শুধু নাই হেথায়।
———————

ম্যায় নেসারে তেরে কালাম পর মিলী ই তুয কিস্ কো বোবা নেহী,
উঅহ সুখন হ্যায় জিস মে সুখন নহো উঅহ্ বয়া হ্যায় জিসকা বায়াঁ নেহী॥

সঁপি নিজেকে কালামে তাঁর, পেইলে কি এমন সে ভাষা তাঁর,
সে বাণীর পরে কোন বাণী নেই, সে বয়ান নাহি আসে বর্ণনায় ।
———————

বখোদা, খোলা কা ইয়েহী হ্যায় দর, নেহী আওর কোয়ী মাফার মাকার,
জু ওয়াহাঁ সে হো ইয়েহী আ-কে হো জু ইয়েহাঁ নেহী ভূ ওয়াহাঁ নেহী ॥

কসম খোদার এ যে খোদারই দ্বার, এছাড়া নাহি কোন ঠাঁই বাঁচার,
যা সেথায় হবে, তা হেথা থেকেই, যা হেথা নাহি নাহি তা সেথায় ।
———————

করে মোস্তফা কী ইহানতেঁ, খুলে বন্দোঁ ইস পেহ্ ইয়ে জুরআতেঁ
কেহ ম্যায় কিয়া নেহী হোঁ মুহাম্মদী! আরে হাঁ নেহী আরে হাঁ নেহী ॥

করে মোস্তফারই অবমাননা, আরো ধৃষ্টতা; কী নির্লজ্জ না!
বলে, আমি নই কি মুহাম্মদী? বলি, নয় গো নয়; তার চিন কোথায়?
———————

তেরে আগে ইউঁ হ্যায়ঁ দবে লচে ফুসাহা আরব কে বড়ে বড়ে
কোঈ জানে মে যোবাঁ নেহী নেহী বলকেহ জিসম্ মে জাঁ নেহী ॥

তব সকাশে আধোবদন, বড় বড় আরবেরই ভাষাবিদগণ,
মুখে কারো নেই কোন ভাষা নেই, কারো ধড়ে বা প্রাণ আসে যায়।
———————

উঅহ্ শরফ কে ক্বত্বয়ে হ্যায়ঁ নিসবতেঁ উঅহ্ করম কেহ সব সে কারীর হ্যায়
কোঈ কেহ দো ইয়াস ও উমীদ সে, উহ্ কাহেঁ নেহী উঅহ্ কাহা নেহী॥

হেন মর্যাদা কাটে কুলমান, অতি নিকটে সে বড় দয়াবান,
ডেকো তাঁরে আর রেখো প্রত্যাশা, কবে নেই সখা বলি, নেই কোথায় ?
———————

ইয়ে নেহী কেহ খুলন নহো নেকো, উঅহ্ নেকোয়ী কী ভী হ্যায় আ-বরো
মগর আয় মদীনে কী আরযু জিসে চাহে তু উঅহ্ সামা নেহী ॥

চির শান্তি সুখ কে না কয় নেকী, তাঁরে নেকীরই তো আব্রু দেখি,
তবে মদীনামুখী বাসনা যারে পায় তারে রাখে তাড়নায় ।
———————

হ্যায় উনহী কে নূর সে সব আয়াঁ, হ্যায় উনহী কে জলওয়া মে সব নেহী
বনে সুবহে তাবশ মেহর সে রহে পেশে মেহর ইয়ে জাঁ নেহী ॥

তাঁরই নূরে সব কিছু আলোময়, তাঁরই উদ্ভাসে সব হাসিমাখা হয়,
তাঁরই চেহারারই নূরে ফোটে ভোর দেখে সূর্যমুখ ম্লান হয়ে যায় ॥
———————

উঅহী নূরে হক উঅহী যিল্লে রব, হ্যায় উনহী সে সব,হ্যায় উনহী কা সব
নেহী উনকী মিলক মে আসমাঁ কেহ যমী নেহী কেহ যমাঁ নেহী॥

সে পরম নূর, ছায়া বিধাতার, সেই নূর হতে সব, বলি, সবই তাঁর,
মালিকানাতে সেই আসমান, আছে যমীন ও কাল সব হেথায় ॥
———————

ওয়াহী লা মকাঁ কে মকীঁ হুয়ে, সারে আরশে তখতে নশী হুয়ে,
উঅহ্ নবী হ্যায় জিসকে হ্যায় ইয়ে মকাঁ, উঅহ খোদা হ্যায় জিসকা মকাঁ নেহী॥

লা-মকানেতে তাঁরই বিচরণ, হল আরশ তাঁরই সিংহাসন,
তিনি সেই নবী যাঁর এই যে শান, খোদা জায়গাতে নাহি পাওয়া যায়।
———————

সারে আরশ পর হ্যায় তেরী গুয়ার, দিলে পরশ ফর হ্যায় তেরী নাযার,
মালাকুত ও মুলক মেঁ কোয়ী শাই, নেহী উঅহ জু তুঝ পেহ্ আয়া নেহী ॥

উঁচু আর্শেও তব বিচরণ, এ ভূবন জুড়েও আছে দু’ নয়ন,
মালাকুত মুলকে কিছু নেই এমন, যা তোমারই সেই দৃষ্টি এড়ায়।
———————

করোঁ তেরে নাম পেহ্ জাঁ ফেদা, না বস এ্যাক জাঁ দোজাহাঁ ফেদা,
দো জাহাঁ সে ভী নেহী জী ভরা, করোঁ কিয়া কোরোড়োঁ জাহাঁ নেহী ॥

করি নামে প্রাণ নিবেদিত, একই প্রাণ তো নয় দূ’ভূবন নীত,
দোজাহানেও নাহি ভরে প্রাণ কোটি বিশ্ব কই আমি পাব হায়।
———————

তেরা ক্বদ তু নাদেরে দাহর হ্যায়, কোঈ মিসল হো তু মেসাল দে,
নেহী গুল কে পোদোঁ মেঁ ডালিয়া কেহ চেমন মে সরো চমাঁ নেহী॥

তব কায়া রূপ সে অভিনব, উপমা নাহি তা কী করে দেবো
ফুল কিশলয়ে কোন শাখা নেই, সে মালঞ্চরূপ তাঁর কোথা কেবা পায়।
———————

নেহী জিস কে রঙ্গ কা দোসরা, না তু হো কোঈ না কাভী হুয়া,
কহো উসকো গুল কহে কিয়া বনী কেহ গুলোঁ কা ঢেরা কাহাঁ নেহী॥

যাঁরই বর্ণে নেই কোন উপমা, নাহি নাহি কোথা সে সুষমা,
তাঁরই সাথে ফুলে কী তুলনা! লাখো ফুল আছে বাগ-বাগিচায় ।
———————

করোঁ মাদাহে আহলে দোয়াল রেখা, পড়ে উস বালা মে মেরী বুলা,
মাই গদা হোঁ আপনে করীম কা, মেরা দীন পারায়ে নাঁ নেহী ॥

ধনবানে গুন রেখা নাহি গায়, কীবা কাজ জড়াবে সে সেই বালায়,
নিজ মুনিবে আমি ডেকে যাই, মম দ্বীনও তো নয় নানপারায়’।
———————

 

 

হ্যায় কালামে ইলাহী মে শামস্ ও দোহা
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ

হ্যায় কালামে ইলাহী মে শামস্ ও দোহা, তেরে চেহরায়ে নূর ফসা কী ক্বসম ॥
কসমে শব তার মে রায ইয়ে থা, কেহ হাবীব কী ফুলফে দো তা কী ক্বসম ॥

সে কোরআন মজীদেতে চাঁদ কি সুরুজ, তব নূরানী চেহারা পাকের কসম,
রাতের ও তমসার শপথে হেতু, কেশগুচ্চ মায়াবী দুয়ের কসম ॥
———————

তেরে খুলক্ব হক নে আযীম কাহা, তেরী খালক্ব কো হক নে জমীল কিয়া,
কোয়ী তুঝসা হুয়া হ্যায় নাহোগা শাহা, তেরে খালেকে হুসন্ ও আদা কী ক্বসম ॥

তব আখলাক শুনি হেথা খুলুকে আযীম, ভব সুন্দর সৃষ্টি রূপে সে অসীম,
নহে তুল্য তোমার কেউ না হবে কড়ু; রূপস্রষ্টা মহিমাময়ের কসম ॥
———————

উঅহ্ খোদা নে হ্যায় মর্তবা তুঝ কো দিয়া, নাহ্ কিসী কো মিলে না কিসী কো মিলা,
কেহ কালামে মজীদ নে খাঈ শাহা, তেরে শাহার ও কালাম ও বা কী ক্বসম ॥

বিধাতা সে মর্তবা দিয়েছে তোমায়, জুটেনি বরাতে কারো, কভু কেউ তা না পায়,
খোদ কুরআনে করীমও করেছে রাজন, তব বাণী, বসত, জীবনের কসম।
———————

তেরা মাসনাদে নায হ্যায় আরশে বরী, তেরা মাহরামে রায হ্যায় রূহে আমী
তু হী সরওয়ারে হার দো জাহাঁ হ্যায় শাহা, তেরা মিসল নেহী হ্যায় খোদা কী কসম ॥

আরশে ইলাহ্ তব পরশে ব্যাকুল, রূহুল আমীন-রাখে রহস্য অমূল,
দোজাহানে তুমিই সম্রাট রাসূল, অতুল, সে করুণাময়ের কসম ॥
———————

ইয়েহী আরয হ্যায় খালেকে আরদ্ব ও সামা উঅহ রাসূল হ্যাঁয় তেরে ম্যাঁয় বান্দাহ্ তেরা,
মুঝে উনকী জওয়ার মে দে উঅহ্ জাগাহ্ কেহ্ হ্যায় খুলস্‌ কো জিসকী সাফা কী ক্বসম ॥

এটাই আরজ ওগো স্রষ্টা ভবের, এ রাসূল তোমার আমি বান্দা জাতের,
তাঁরই কাছে দিও মোরে একটু সে ঠাঁই, যাকে অষ্ট বেহেশত সবের কসম ॥
———————

তুহী বান্দা পেহ্ করতা হ্যায় লুৎফ্ ও আতা, হ্যায় তুঝহী পেহ ভরোসা তুঝহী সে দুআ,
মুঝে জলওয়ায়ে পাকে রাসূল দেখা, তুঝে আপনে হী ইযয ও উলাকী কসম ॥

হে খোদা মায়া তব বান্দা পরে, ভরসা তোমার, মাঙি যুক্তকরে,
মোরে জলওয়া রাসুলের একটু দেখাও, তর ইজ্জত ও মহিমা নিজের কসম ॥
———————

মেরে গরচেহ গুনাহ হ্যায় হদ সে সিওয়া, মাগার উনসে উমীদ হ্যায় তুঝছে রাজা,
তু রাহীম হ্যায় উনকা কারাম হ্যায় পাওয়া, উত্সহ করীম হ্যাঁয় তেরী আতা কী ক্বসম ॥

নাহি সীমা যদি বা পাপে আমার, আশা তাঁরই পরে, তাহার তব দৃষ্টি উদার,
তুমি দয়ালু যে তাঁরই দয়া প্রমাণ, তিনি দাতা, তোমারই দানের কসম ॥
———————

ইয়েরী কেহতা হ্যায় বুলবুলে বাগে জিনাঁ, কেহ্ রেখা কী তরেহ কোয়ী সাহরে বয়াঁ
নেহী হিন্দ মে ওয়াসেফে শাহে হুদা, মুঝে শওখীয়ে ত্ববয়ে রেযা কী ক্বসম ॥

বাগে জান্নাতেরই বুলবুলি কহে, সে রেখার মতন যাদুগীত গাহে,
তাঁরই বন্দনা গাইতে যে হিন্দ-এ নাহি, রেখার উৎসাহী এই চিত্তের কসম ॥
———————

 

 

সর তা বকদম হ্যায় তনে
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ
সর তা বকদম হ্যায় তনে সুলতানে যামান ফুল,
লব ফুল, দাহান ফুল, যাকান ফুল, বদন ফুল ॥

নবী রাজেরই আপাদমস্তক তনু-মন ফুল,
পাক-ঠোঁট ও অধর থুতনি কি তাঁর পূর্ণ সে তন ফুল।
——————-

সদকে মে তেরে বাগ তু কিয়া লায়ে হ্যাঁয় ফুল,
ইস গুনচায়ে দিল কো ভী তু ঈমা হো কেহ বন ফুল ॥

দিতে অর্ঘ্য সে পা’য় গুলবাগিচায় কতই বা ফুলপায়,
মোর মন কলিরে দাও ইশারা হোক সে এখন ফুল।
——————-

তনকা ভী হামারে তু হিলায়ে নেহী হিলতা,
তুম চাহো তু হো জায়ে আভী কোহে মেহান ফুল ॥

খড় কুটাও না যায় হেলানো তায়, মোদের এ সত্ত্বায়,
তুমি চাইবে যখন দুঃখ পাহাড় হবেই তখন ফুল ।
——————-

ওয়াল্লাহ্ জু মিল জায়ে মেরে গুলকা পসীনাহ্
মাঙ্গে না কাভী ইতুর না ফির চাহে দুলহান ফুল ॥

বলি শপথ সরব পাই তো গরব ঘামেরই সৌরভ,
তবে চাই না আতর, কিংবা কনে চায় না কখন ফুল।
——————-

দিল বস্তাহ ও খৌ গশতাই নাহ্ খোশবু নাহ লাত্বাফাৎ,
কেউ গুনচাহ্ কহোঁ হ্যায় মেরে আক্বা কা দাহান ফুল ॥

নেই রূপ কি সুবাস, নেই তো সুহাস, দিল খুনে আশপাশ,
কেন কইব কলি ফুটছে বুলির প্রতিটি ক্ষণ ফুল।
——————-

শাব ইয়াদ থী কিন দাঁতোঁ কী শাবনাম কেহ দমে সুবহ
শওখানে বাহারী কে জড়া-ও হ্যাঁয় কিরণ ফুল ॥

কাটে স্মরণ নিশির ভোরের শিশির দন্তে কী জ্যোতির,
ভরা যৌবনে কি হাসছে শোভায় এমনি কানন ফুল ।
——————-

দানদা-ন ও লব ও যুলফ্ ও রুখে শাহ্ কে ফেদায়ী,
হ্যাঁয় দুররে আদন না, লে ইয়ামান মুশকে খেতান ফুল ॥

সেই দস্ত, অধর যুলফি বহর, চেহারা জ্যোতির পর
মরে লজ্জাতে সব মুক্তো কি লাল, খোশবু, কিরণ, ফুল।
——————-
বু হো কে নেহাঁ হো গ্যায়ে তারে রুখে শাহ্ মে
লও বন গ্যায়ে হ্যায় আর তু হাসীনো কা দাহান ফুল ॥

সব রূপ হওয়া হয়, সামনে যা রয়, সেই রূপের উদয়,
তাঁর সামনে সবই ম্লান হয়ে যায় রত্ন, বরণ, ফুল ।
——————-

হোঁ বারে গুনাহ সে নাহ খজল দোশে আযীযাঁ
লিল্লাহে মেরী না শ কর আয় জানে চমন ফুল ॥

বাপ ভায়ের ঘাড়ে, গুনাহর ভারে লাজ নাহি বাড়ে,
দেই দোহাই যেন পাই গোরে হে, পুষ্পজীবন ফুল ।
——————-

দিল আপনা ভী শায়দারী হ্যায় উস না শুনে পা কা,
ইতনা ভী মাহে নও পেহ্ নাহ্ আয় চরখে কুহান ফুল ॥

নখে পাক চরণের এই জীবনের অর্ঘ্য দিনু ফের,
তবে চাঁদ নিয়ে তুই কীইবা গরব করবি গগন ভুল।
——————-

দিল খোল কে খোঁ রোলে গমে আরেযে শাহ্ মেঁ,
নিকলে তু কইে হাসরতে খোঁ নাবাহ্ শুদন ফুল ॥

করে রক্তক্ষরণ বিষণ্ণ মন হেন অশ্রু বিসর্জন,
এই বিষাদ বারি পড়বে যদি হাসবে চরণ ফুল ।
——————-

কিয়া গায়া মিলা গিরদে মদীনা কা জু হ্যায় আজ,
নিখরে হয়ে জু বন মে কিয়ামত কী ফবন ॥

বুঝি সেই মদীনার, ধুল উপহার মাখলো গায়ে তার,
তাই মনমোহিনী খোশবু ও রূপ পায় সে এমন ফুল ।
——————-

গরমী ইয়ে ক্যয়ামত হ্যায় কেহ কাটে হ্যাঁয় যোঁবাঁ পর,
বুলবুল কো ভী আয় সাকীয়ে সাহরা ও লাবান ফুল ॥

সেই রোজে হাশর তৃষ্ণা কাতর কণ্ঠে শুষ্কতর
এই বুলবুলে দাও সাকী, শরাব, স্বস্তি যেমন ফুল।
——————-

হ্যায় কোন কেহ গিরইয়া করে ইয়া ফাতেহা কো আয়ে,
বে কস কে উঠহায়ে তেরী রহমত কে ভরন ফুল ॥

কেঁদে বক্ষ ভাসে এগিয়ে এসে দুঃখ কে নাশে,
যদি এই অসহায় সেই করুণায় পায়তো এখন ফুল।
——————-

দিলে গম তুঝে ঘে-রে হ্যায় খোদা তুঝকো উঅহ চমকায়ে,
সুরাজ তেরে খিরমন কো বনে তেরী কিরণ ফুল ॥

হে চিত্ত আমার দুঃখ অপার ঘিরল চারিধার,
খোদা চাইবে যখন সূর্য লাজে ভুলবে আপন কুল ।
——————-

কিয়া বা-ত রেখা উস চেমনিস্তানে করম কী,
যাহরা হ্যায় কলী জিসমে হুসাইন আওর হাসান ফুল ॥

রেখা বলব কী আর সেই করুণার বাগে কী বাহার,
যাতে যাহরা কলি হাসান হোসাইন প্রিয় দু’জন ফুল।
——————-

 

 

ওয়াহ্ কিয়া জুওদ্ ও কারাম :
বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ
————————-

ওয়াহ্ কিয়া জুওদ্ ও কারাম হ্যায় শাহে বাত্হা তেরা
নেহী’ সুনতা হি নেহী মাংগনে ওয়ালা তেরা ॥

কী অশেষ দান দখিনা সাহারার বাদশা তোমার,
শোনে না ‘না’ কখনো ভিখারী যে দ্বারে তোমার॥
—————–

ধারে চলতে হেঁ আতা কে উঅহ হ্যায় কতরা তেরা,
তারে খিলতে হেঁ সাখা কে উঅহ হ্যায় যররা তেরা ॥

দানেরই ধারা বহে, সে তোমার ফোঁটা গো হে
ওই অযুত তারা জ্বলে, সে যে এক বিন্দু দয়ার॥
—————–

ফয়স্ হ্যায় ইয়া শাহে তসনীম নিরালা তেরা
আপ পিয়াসোঁ কে তজস্সুস মে হ্যায় দরইয়া তেরা ॥

উপমা নাই করুণার, হে মালিক জান্নাতী ধারার,
খুঁজে পিয়াসী কোথা আপনি দরিয়া তোমার ॥
—————–

আগ্নিয়া পালতে হেঁ দর সে উঅহ হ্যায় বাড়া তেরা,
আসফিয়া চলতে হেঁ সর সে উঅহ হ্যায় রাস্তা তেরা ॥

দুয়ারে রাজ রাজড়া গড়ায়, নসীবে পড়বে আশায়,
সুফীরা মাথা ঠেকায় সে পদচিহ্নে তোমার ॥
—————–

ফরশ্ ওয়ালে তেরী শওকত কা উলূ কিয়া জানে
খুসরুওয়া আরশ্ পেহ্ উড়তা হ্যায় পহরীরা তেরা ॥

কী মোদের সাধ্য আবার, তোমারই মর্যাদা মাপার,
ওগো বাদশাহ আরশে উড়ে পতাকা তোমার॥
—————–

আসমাঁ খান যমীন খান যমানা মেহমান
ছাহেবে খানাহ্ লক্বব কিসকা হ্যায় তেরা তেরা ॥

কী যমীন, কী আসমান, যমানা সেও মেহমান,
এ সৃজন মালিকানায় সে তোমারই, তোমার ॥
—————–

ম্যায়ঁ তু মালিকহী কহোঁগা কেহ্ হো মালিক কে হাবীব
ইয়ানী মাহবুব ও মুহিব্বু যে নেহী মেরা তেরা ॥

আমি বলি তো মালিক, মালিকের প্রিয়তম সঠিক,
প্রেমেরই এ ভূবনে নেই এ তোমার কি আমার॥
—————–

তেরে কদমোঁ মে জু হ্যাঁ গাইর কা মুঁহ কিয়া দেখে,
কৌন নযরোঁ পেহ্ চড়হে দেখকে তলওয়া তেরা॥

চরণে হয় যে হাজির, কোথা কি যায় সে ফকীর,
ও চরণতল যে হেরে, চোখে ফের কে আসে তার॥
—————–

বাহরে সায়েল কা হোঁ সায়েল কোয়ে কা পিয়াসা
খোদ বুঝা জায়ে কলিজা মেরা ছিঁটা তেরা ॥

দরিয়ার ধারাতে চাই, ভিখারী কুপে না যাই,
তোমারই ছিটে ফোঁটায় জুড়াবে আত্মা আমার ॥
—————–

চোর হাকেম সে চুপা করতে হ্যাঁ এয়াঁ উসকে খেলাফ
তেরে দামান মে চুপে চোর, আনোক্ষা তেরা॥

চোরা হাকীমে লুকায়, নীতি ভিন্ন যে হেথায়,
পাপী আচলে বাঁচে, তুলনা নাই গো দয়ার ॥
—————–

আখী ঠান্ডা হোঁ জিগার ভাবে হো জানে সায়রাব,
সাচ্চে সুরাজ উঅহ দিল আরা হ্যায় উজালা তেরা॥

আঁখি ঠাণ্ডা ও পরান ভাজা, তৃপ্ত গো প্রাণ,
আসলে সূর্য সে তো, চমক অপূর্ব তোমার ॥
—————–

দিল আবস খাওফ সে পাত্ত্বা মা উড়া জাতা হ্যায়,
পান্না হাল্কা সাহী ভারী হ্যায় ভরোসা তেরা ॥

মিছে ভয়ে তো এ প্রাণ, পাতারূপ দেয় কি উড়ান,
পাল্লা হাল্কা হলেও তোমারই ভরসা ভার॥
—————–

এক মায়ঁ কিয়া মেরে ইছয়াঁ কী হাক্বীকত কিতনী
মুঝ সে সও লাখ কো কাফী হ্যায় ইশারা তেরা॥

আমি এমন কি? আমার পাপেরও গ্লানি কী আর?
লাখো এমনি পাপীকে সারে ইশারা তোমার॥
—————–

মুফত পালা কভী কাম কী আদাৎ নাহ্ পড়ী,
আব আমল পুচতে হ্যাঁ হায়ে নিকম্মা তেরা ॥

করেছো মুফত লালন, কাজে নেই অনুশীলন,
আমলের কীইবা হিসাব অকেজো এ অভাগার॥
—————–

তেরে টুকড়োঁ সে পালে গাইর কী ঠোকর পেহ্ না ডাল,
ঝড়কিয়াঁ খায়ে কাহাঁ ছোড় কে সদকা তেরা ॥

তব পালন পেলাম, করো না পরের গোলাম,
কারই বকুনী খাব ছেড়ে তোমারই দুয়ার॥
—————–

খার ও বীমার ও খাত্বাওয়ার ও গুনাহগার হোঁ ম্যায়,
রাফে’ ও নাফে’ ও শাফে’ লক্বব আকা তেরা ॥

পাপী, লাঞ্চিত, লাচার, পীড়িত এ গুনাহগার
মান ও কল্যাণদাতা সুপারিশ শুধু তোমার ॥
—————–

মেরী তাকদীর বুরী হো তো ভালী করসে, কেহ হ্যায়,
মাহভ্ ও ইসবাত কে দফতর পেহ্ কড়োড়া তেরা ॥

বিধি মন্দ যদি হয়, করো হে কল্যাণময়,
রাখা না রাখা বিধি, আছে তো সে অধিকার॥
—————–

তু জু চাহে তু আবহী মেরে দিলকে ধুলেঁ,
কেহ্ খোদা দিল নেহী করতা কভী ম্য়য়লা তেরা ॥

তুমি ফিরালে নয়ন, কালিমামুক্ত এ মন,
প্রভু করে না তব শশীমুখ আঁধার॥
—————–

কিসকা মুহঁ তকিয়ে কাহাঁ জাইয়ে কিস সে ক্যহিয়ে,
তেরে হী কদমোঁ পেহ্ মিট জায়ে ইয়ে পালা তেরা ॥

কাকে জ্বালাব কোথায়, ব্যথা কেবা শুধায়,
পুতচরণে এ পোষ্য চাহে মিটে যাবার॥
—————–

তুনে ইসলাম দিয়া, তু নে জামাআত মে লিয়া,
তু করীম আর কোয়ী ফিরতা হ্যায় আতিয়্যা তেরা ॥

তুমি দ্বীন নিয়েছে হে, করেছো আশ্রিত হে,
তুমি দাতাকে ছেড়ে যাবে কাঙাল কী আর ।
—————–

মওত সুনতা হোঁ সিতম তলখ হ্যায় যহরা বায়ে নাব
কৌন লা দে মুঝে তলোওঁ কা গাসালা তেরা ॥

শুনেছি তিক্ত মরণ, বিষদাঁতে সে দংশন,
কে দেবে এনে আমায়, পা ধোয়া পানি তোমার ॥
—————–

দুর কিয়া জানিয়ে বদকার পে ক্যয়সী ওযরে,
তেরে হী দরপেহ্ মরে বে কস ও তনহা তেরা॥

পাপীরে রেখ না দূরে, কী যে ঝড় বয় অন্তরে
দ্বারে পড়ে সে মরে, একা উম্মত এ লাচার ॥
—————–

তেরে সাদকে মুঝে ইক বোন্দ বহুত হ্যায় তেরী,
জিস দিন আচ্ছো কে মিলে জাম ছলকতা তেরা ॥

তব দোহাই হে, মোরে এক বিন্দু বাঁচার তরে,
পাবে যবে প্রিয়রা সুধা, সেই সে পেয়ালার ॥
—————–

হেরম ও তায়বা ও বাগদাদ জিধার কীজিয়ে নিগাহ,
জোত পড়তী হ্যায় তেরী নূর হ্যায় ছুনতা তেরা ॥

তৈয়বা, বাগদাদে যেথা, যেদিকে পড়ে সে নেগাহ্
চমকে তোমারই নূর, জ্যোতি সেই নূর তোমার ॥
—————–

তেরী সরকার মে লাতা হ্যায় রেযা উসকো শফী,
জু মেরা গাউস হ্যায় লাডলা বেটা তেরা ॥

রেযা সে রাজ দুয়ারে, সুপারিশ নিল কারে,
আমারই গাউস তিনি, প্রিয় সন্তান তোমার ॥
—————–

 

 

যহে ইযযত ও এ’ তেলায়ে মুহাম্মদ:

বাংলা উচ্চারণ ও কাব্যনুবাদ
——————

যহে ইযযত ও এ’ তেলায়ে মুহাম্মদ,
কেহ হ্যায় আরশে হক্ব যেরে পায়ে মুহাম্মদ ॥

কিরূপ শান ও ইযযত উঁচু সে নবীজির,
খোদার আরশ তাঁর সে চরণে নতশির॥
——————

মকাঁ আর্শ উনকা, ফলক ফর্শ উনকা,
মালাক খাদেমানে সরায়ে মুহাম্মদ ॥

ওই আরশে আসন তাঁর, অলোকে ফরাশ আর,
ফেরেশতা দাঁড়িয়ে সেবায় সে নবীজির ॥
——————

খোদা কী রেযা চাহতে হ্যায়ঁ দো আলম,
খোদা চাহতা হ্যায় রেযায়ে মুহাম্মদ ॥

যাচে তুষ্টি আল্লাহর,যত সৃষ্টিকুল আর,
খোদা চাহে সন্তোষ প্রিয় সে নবীজির ॥
——————

আজব কিয়া আগর রহমে ফরমায়ে হাম পর,
খোদায়ে মুহাম্মদ বরায়ে মুহাম্মদ ॥

যদিই বা দয়া পাই, বিচিত্র কিছুই নাই,
শুধুই তাঁর উসীলায় রহমত ইলাহীর ॥
——————

মুহাম্মদ বরায়ে জনাবে ইলাহী,
জনাবে ইলাহী বরায়ে মুহাম্মদ ॥

নবীজি সে আল্লাহর, খোদাও প্রেমিক তাঁর
প্রেমের সে বিধানে পরস্পর কী প্রীতির ॥
——————

বসী ইত্বরে মাহবিয়ে কিবরিয়া সে,
আবায়ে মুহাম্মদ ক্ববায়ে মুহাম্মদ ॥

সুরভি কী মাথায়, খোদার সে প্রেমের বায়,
“নবীজির যত না পোশাক এ ধরিত্রীর ॥
——————

বহম আহদে বা-ন্ধে হেঁ ওয়াসলে আবাদকা,
রেযায়ে খোদা আওর রেযায়ে মুহাম্মদ ॥

উভয়ের এ সন্তোষ, হামেশা রহে খোশ,
কী মজবুত প্রতিজ্ঞা পরস্পর সে মৈত্রীর ॥
——————

দমে নযয়ে জারী হো মেরী যোবাঁ পর ,
মুহাম্মদ! মুহাম্মদ! খোদায়ে মুহাম্মদ ॥

সে অন্তিম শয্যায়, এ বান্দাহ যেন পায়,
মুহাম্মদ! মুহাম্মদ ! আর আল্লাহ্ নবীজির ॥
——————

আসায়ে কলীম আঝদাহায়ে গযব থা,
গিরো কা সাহারা আসায়ে মুহাম্মদ॥

ছড়ি কালীমুল্লাহর সে, অজগর আকার,
ছড়ি মোস্তাফারই ভরসা এ পাপীর ॥
——————

ম্যাঁয় কুরবান কিয়া পিয়ারী পিয়ারী হ্যায় নিসবৎ,
ইয়ে আনে খোদা উঅহ খোদায়ে মুহাম্মদ ॥

প্রেমের সে কী বন্ধন, ভাষায় তা অবর্ণন,
নবী শান আল্লাহর, খোদা রব্ নবীজির ॥
——————

মুহাম্মদ কা দম খাসস্ বাহরে খোদা হ্যায়,
সিওয়ায়ে মুহাম্মদ বরায়ে মুহাম্মদ ॥

নবীজির এ জীবন খোলাতেই সমর্পন,
তারই জন্য যে সব বাকী যা এ সৃষ্টির ॥
——————

খোদা উনকো কিস পেয়ার সে দেখতা হ্যায়,
জু আঁখে হ্যাঁয় মাহতে লেকা-য়ে মুহাম্মদ ॥

খোদা সেই সে যাতে দেখে কী মায়াতে,
নবীজির দিদারে অপলক আঁখি, স্থির ॥
——————

জলো মে ইজাবত খাওয়াসী মে রহমত,
বড়হী কিস তযক সে দুআয়ে মুহাম্মদ ॥

বিশেষে দয়া হয়, কবুল সে সুনিশ্চয়,
যে দোয়া নবীজির, সাথে সে আঁখিনীর ॥
——————

ইজাবৎ নে ঝুক কর গলে সে লাগায়া,
বাড়হী, নাম সে জব দুআয়ে মুহাম্মদ ॥

কবুলিয়ত আসলো, গলাতে মিলালো,
যখন ওই দোয়ার হাত দুয়ারে ইলাহীর ॥
——————

ইজাবৎ কা সেহরা, ইনায়াত কা জোড়া,
দুলহান বনকে নিকলী দুআয়ে মুহাম্মদ ॥

টোপর মাথে কবুল, করুণা ঝুলে দুল,
দুলহানের মতন, তাঁর দোয়া সে প্রশান্তির ॥
——————

রেযা পুল সে আর ওয়াজদ করতে গুযরিয়ে,
কেহ হ্যায় ‘রাব্বি সাল্লিম’ সদায়ে মুহাম্মদ ॥

রেযা পুলসিরাতে, খুশীই ভরসাতে,
জামিন রাব্বি সাল্লিম ‘যবানে নবীজির ॥
——————

 

যে ফুল যুগ যুগান্তরে খুশবু ছড়ায় । Je Ful Jug Jugantore

 

কথাঃ তাফাজ্জল হোসাইন খান
কন্ঠঃ জাইমা নূর
যে ফুল যুগ যুগান্তরে খুশবু ছড়ায়
এঁকেছি সে ফুল মোরা মনেরই কা’বায়
হাবিবে খোদা তিনি নবী কামলিওয়ালা
তারই ছোঁয়াতে আজও দুনিয়া উজালা
তারই বিরহে দু’চোখ অশ্রু ঝরায়
গাহে গুণগান যার খোদ খোদা তা’য়ালা
কবি-অকবি গাঁথে শত সুরমালা
ঝরে ধারা অবিরত,কভু না ফুরায়
যারে খোদা ডেকে নিয়ে আরশ পাকে
মধুর সুমধুর সুরে নাম ধরে ডাকে
তারই প্রেমে কাতর এ বুক জ্বলে পুড়ে যায়

 

 

হে দয়াময় দয়াল মাবুদ
মুফতি আব্দুল আজিজ রজভী
——————————

হে দয়াময় দয়াল মাবুদ আল্লাহ করুণা অপার
কবুল করো ওহে আল্লাহ ফরিয়াদ আমার।

ধন-সম্পদ চাইনা আমি তোমার দরবারে
চাই আমি যাকে পেলে পাবো তোমারে
এ প্রত্যাশা মনে যাবো সেথায় কেমনে
মুক্ত করো জ্বালা হতে ওগো পরওয়ার ।

প্রেমে যার পড়ে তুমি সৃজিলে দুনিয়া
দর্শন যাকে দিয়েছে লা’মকানেতে নিয়া
সব কিছু দেখাইয়াছো জান্নাতে নিয়েছো
রাওযাতে তাঁর চাই যেতে আমি গুনাগার ।

সবুজ গম্বুজের নিচে আছেন নাবিজি (এ)
সেথায় চুমু খায় শতো-কোটি হাজি
আরশ হতে সেরা মাদিনা মনোয়ারা
অধম আজিজ পাগলপারা যেতে সে দরবার ।

 

 

রাসুল আমি তোমায় না চিনিলে তোমার কি আসে যায়

কথাঃ মাওলানা সেলিম রিয়াদ হক্কানী
ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া হাবিবাল্লাহ
রাসুল আমি তোমায় না চিনিলে, তোমার কি আসে যায়,
মোরা তোমায় না চিনিলে, তোমার কি আসে যায়,
দোনো জাহান তোমারি, নুরী চরণে ঝুকায় (ঐ)

তুমি ছিলে জমিনে আর
চন্দ্র ছিল আসমানে,
মক্কার কাফেরগণে
নবুওয়ত প্রমাণে
করে তোমায় আবেদন
চন্দ্র করতে দ্বিখন্দন
দেখে তোমার তরজনি- ইয়া
রাসুলাল্লাহ (দ:)
চাঁদ হয়ে যায় কোরবানি
আশেকের পরিচয় মিলে
চির অম্লান হয়ে যায় (ঐ)

বন-জঙ্গলের বাঘ হরিণ
মনে আনতে সুখের বিন
তোমার নামে প্রতিদিন
দরুদ পড়ে সিমাহীণ
তোমায় চিনার মত যে চিনেছে- ইয়া
রাসুলাল্লাহ (দ:)
পাওয়ার মত সে পেয়েছে,
এমন পাওয়া পেয়েছে সে
যে পাওয়ার উপমা নাই (ঐ)

 

 

রহমতে আলম নুরে মুজাচ্ছাম – মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আশেকী

রহমত আলম নবী নূরে মোজাসাম
কথা ও সুর: মাওলানা ওলি উল্লাহ আশেকী
————————————————
রহমত আলম নবী নূরে মুজাচ্ছাম,
সাহাবীরা আতর বানায় ঐ নবিজির ঘাম।

চিন মান জান, কেমন আমার নবীজি,
জাহার পাগল চন্দ্রে সূর্য তারকা রাজি,
জান্নাতেরও রুমে রুমে লেখা নবীর নাম । ঐ

উসতুনে হান্নানা একটি খেজুর গাছের নাম,
যাকে ধরে খুতবা দিতেন রাসুলে আকরাম,
গাছটা নবীর বিরহে কাঁদিতে রহে
হতভাগ হয় দেখে যত সাহাবায়ে কেরাম । ঐ

আমরা মানুষ হতভাগা নবী চিনি নাই,
পশু পাখি নবী চিনে করিল কান্না,
যে চিনেছে সে পেয়েছে
পাহাড় পর্বত গাছপালা দিয়েছেন সালাম । ঐ

ওলিউল্লার নবীর কাছে এই আরাধোনা,
দেখব নবী নুরের ছবা কত কনা,
আমার দিদার বেলাতে নবী আসবে দেখিতে
আমি পাগল কিয়াম করে সালাম । ঐ